Dhaka ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৭ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

আগামী অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবটা তাই ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেলেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

তবে পাপন জানান, বোর্ড সভাপতির জন্যও তার ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে, কারণ সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তাকে ক্রিকেটে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। এজন্য ডাক্তাররা তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন!

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বোর্ডের এজিএম শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আমি কি নির্বাচন করবো, না-কি করবো না? আমাকে বারবার ডাক্তাররা বলেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে। ডাক্তাররা বলেছেন, যদি আপনি বোর্ডে থাকেনও অন্তত এই কাজগুলো করবেন না (ক্রিকেটারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা)।

তবে যাই হোক না কেন, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে বিসিবি বস আরও বলেন, ‘আমার একটি খারাপ দিক হলো, বাংলাদেশ হারলে আমি তা নিতে পারি না। বাংলাদেশ যখন হারে তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার স্ত্রী এবং সন্তাদের কেউই আমার সামনে আসে না। আমার মতো আরো অনেকেই আছেন, যারা হার মেনে নিতে পারেন না। এই অনুভূতি খুব খারাপ।’

পাপন জানান, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এজিএম-এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা পহেলা সেপ্টেম্বর বোর্ড সভায় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা খুব শীঘ্রই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো।’

২০১২ সালের অক্টোবরে প্রথম দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির তৎকালীন প্রধান এএইচএম মোস্তফা কামালকে আইসিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগের পর তাকে মনোনিত করে সরকার। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পাপন।

২০১৭ সালে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুন:রায় নির্বাচিত হন পাপন। তিনি যদি এই পদে আরও থাকতে চান, তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ রয়েছে তার। কেননা এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে আগ্রহও দেখায়নি।

বিসিবির প্রধান দাবি করেন, ক্রিকেট বোর্ডে অনেক সময় দিতে হবে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ইউনুস নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি জিম্বাবুয়ে গিয়েছিলেন। তারা জেনে অবাক হয়েছিলেন, আমি ভোর থেকে খেলা দেখছি, আমি তাদের সকাল ৭টায় কল করেছি এবং নাস্তার টেবিলে তাদের সাথে কথা বলেছি। এরপর আমরা দল নিয়ে কথা বলি। আসলে ক্রিকেটে খুব বেশি সময় দিতে হচ্ছে।’

নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, এবারের নির্বাচন ভিন্ন হবে। এটা অন্য সময়ের মতো নাও হতে পারে। আমি আশা করি, এটি আমার প্রস্তাব অনুযায়ীই হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

আগামী অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ

Update Time : ০৩:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

আগামী অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবটা তাই ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেলেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

তবে পাপন জানান, বোর্ড সভাপতির জন্যও তার ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে, কারণ সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তাকে ক্রিকেটে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। এজন্য ডাক্তাররা তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন!

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বোর্ডের এজিএম শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আমি কি নির্বাচন করবো, না-কি করবো না? আমাকে বারবার ডাক্তাররা বলেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে। ডাক্তাররা বলেছেন, যদি আপনি বোর্ডে থাকেনও অন্তত এই কাজগুলো করবেন না (ক্রিকেটারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা)।

তবে যাই হোক না কেন, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে বিসিবি বস আরও বলেন, ‘আমার একটি খারাপ দিক হলো, বাংলাদেশ হারলে আমি তা নিতে পারি না। বাংলাদেশ যখন হারে তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার স্ত্রী এবং সন্তাদের কেউই আমার সামনে আসে না। আমার মতো আরো অনেকেই আছেন, যারা হার মেনে নিতে পারেন না। এই অনুভূতি খুব খারাপ।’

পাপন জানান, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এজিএম-এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা পহেলা সেপ্টেম্বর বোর্ড সভায় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা খুব শীঘ্রই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো।’

২০১২ সালের অক্টোবরে প্রথম দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির তৎকালীন প্রধান এএইচএম মোস্তফা কামালকে আইসিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগের পর তাকে মনোনিত করে সরকার। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পাপন।

২০১৭ সালে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুন:রায় নির্বাচিত হন পাপন। তিনি যদি এই পদে আরও থাকতে চান, তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ রয়েছে তার। কেননা এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে আগ্রহও দেখায়নি।

বিসিবির প্রধান দাবি করেন, ক্রিকেট বোর্ডে অনেক সময় দিতে হবে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ইউনুস নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি জিম্বাবুয়ে গিয়েছিলেন। তারা জেনে অবাক হয়েছিলেন, আমি ভোর থেকে খেলা দেখছি, আমি তাদের সকাল ৭টায় কল করেছি এবং নাস্তার টেবিলে তাদের সাথে কথা বলেছি। এরপর আমরা দল নিয়ে কথা বলি। আসলে ক্রিকেটে খুব বেশি সময় দিতে হচ্ছে।’

নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, এবারের নির্বাচন ভিন্ন হবে। এটা অন্য সময়ের মতো নাও হতে পারে। আমি আশা করি, এটি আমার প্রস্তাব অনুযায়ীই হবে।’