Dhaka ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

COVID পরিষেবা ও নিউ ব্যারাকপুর শহর(পশ্চিমবঙ্গ)

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • ৩২৪ Time View

মহীতোষ গায়েন,কলকাতা ডেস্ক, দৈনিক সুপ্রভাত উত্তরবঙ্গ :

Covid মহামারীতে বিধ্বস্ত সারা ভারতবর্ষ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট শহর নিউ ব্যারাকপুর, সমগ্র নিউব্যারাকপুরবাসীকে এই ভয়ংকর অতিমারী করোনা’র হাত থেকে রক্ষা করতে যিনি ঐকান্তিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সেই প্রচারবিমুখ ব্যক্তিত্ব হলেন রাজু রাহা মহাশয়। সারা নিউব্যারাকপুরবাসীর চোখের মণি।সীমিত সামর্থ্যে বৃহত্তম কর্মযজ্ঞের হোতা। সদা মিষ্টভাষী, দৃঢ়চিত্ত,ঐকান্তিক কর্মনিষ্ঠ বীর সৈনিক।নিউব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির covid মোকাবিলায় তাঁর একনিষ্ঠ সেবা, এক অপরিমেয় মহত্ত্ব ও কর্তব্য পালনের দৃষ্টান্ত, যা সত্যিই নজিরবিহীন। তাঁর নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতার উপর নির্ভর করেই অবিরত চলেছে Covid Test, Vaccination, Safe Home পরিষেবা।

গত ৫ নভেম্বর নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভার উদ‍্যোগে নিউব‍্যারাকপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী সুখেন মজুমদারের তত্বাবধানে চালু হয়েছে মহিলাদের জন‍্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেফ হোম। চালু হওয়ার দিনই করোনা আক্রান্ত কলোনী গার্লস স্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষিকা মৌসুমী দাস চাকলাদার রাজু রাহারই উদ‍্যোগে ভর্তি হন,অত‍্যন্ত সুচিকিৎসা ও নান্দনিক পরিষেবার ফলে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসেন।

নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভার উদ্যোগে মহিলা ও পুরুষদের জন‍্য নির্মিত দুটি সেফহোমে অত‍্যন্ত যত্নশীল পরিষেবা কয়েক শো করোনা আক্রান্ত মহিলা ও পুরুষ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।বর্তমানে করোনার এই দ্বিতীয় ওয়েভেও ৫০ শয‍্যা বিশিষ্ট দুটি সেফহোমে প্রতি সপ্তাহে ৫০জন সুস্থ হয়ে উঠছেন,দীর্ঘ১বছর ধরে চলছে তাদের এই অক্লান্ত পরিষেবা,যা বাংলার গর্ব মমতা ব‍্যানাজীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সারা পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তদের সুরক্ষা ও চিকিৎসায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভা।

রাজু নিজ হাতেই করেন Covid Test, দেন Vaccine, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হয়ে চলেছে তাঁর আন্তরিক স্নেহস্পর্শ, যা আজকের দিনে রোগী ও তার পরিবারের কাছে দুর্লভ।নিজেও হয়েছেন Covid আক্রান্ত ।সুস্থ হয়েই আবার শুরু করেছেন অক্লান্ত,বিরামহীন পরিষেবা দান।তাঁর কাঁধে ভর দিয়েই Safe Home এর bed সংখ্যা আরো বেড়েছে।মানুষের সুস্থতার লক্ষ্যে এ যেন তার ঐকান্তিক লড়াই, যেখানে নিজের জীবনও বোধহয় তুচ্ছ।তবুও তাঁর প্রশ্ন,তাঁর জিজ্ঞাসা,” আমি কি মানুষ হতে পেরেছি? “সত্যিই তিনি আমাদের মতো মানুষ নন,মানুষের অনেক উপরে তাঁর স্থান।দিনরাত এক করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত এক মহাপ্রাণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

COVID পরিষেবা ও নিউ ব্যারাকপুর শহর(পশ্চিমবঙ্গ)

Update Time : ০১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

মহীতোষ গায়েন,কলকাতা ডেস্ক, দৈনিক সুপ্রভাত উত্তরবঙ্গ :

Covid মহামারীতে বিধ্বস্ত সারা ভারতবর্ষ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট শহর নিউ ব্যারাকপুর, সমগ্র নিউব্যারাকপুরবাসীকে এই ভয়ংকর অতিমারী করোনা’র হাত থেকে রক্ষা করতে যিনি ঐকান্তিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সেই প্রচারবিমুখ ব্যক্তিত্ব হলেন রাজু রাহা মহাশয়। সারা নিউব্যারাকপুরবাসীর চোখের মণি।সীমিত সামর্থ্যে বৃহত্তম কর্মযজ্ঞের হোতা। সদা মিষ্টভাষী, দৃঢ়চিত্ত,ঐকান্তিক কর্মনিষ্ঠ বীর সৈনিক।নিউব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির covid মোকাবিলায় তাঁর একনিষ্ঠ সেবা, এক অপরিমেয় মহত্ত্ব ও কর্তব্য পালনের দৃষ্টান্ত, যা সত্যিই নজিরবিহীন। তাঁর নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতার উপর নির্ভর করেই অবিরত চলেছে Covid Test, Vaccination, Safe Home পরিষেবা।

গত ৫ নভেম্বর নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভার উদ‍্যোগে নিউব‍্যারাকপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী সুখেন মজুমদারের তত্বাবধানে চালু হয়েছে মহিলাদের জন‍্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেফ হোম। চালু হওয়ার দিনই করোনা আক্রান্ত কলোনী গার্লস স্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষিকা মৌসুমী দাস চাকলাদার রাজু রাহারই উদ‍্যোগে ভর্তি হন,অত‍্যন্ত সুচিকিৎসা ও নান্দনিক পরিষেবার ফলে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসেন।

নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভার উদ্যোগে মহিলা ও পুরুষদের জন‍্য নির্মিত দুটি সেফহোমে অত‍্যন্ত যত্নশীল পরিষেবা কয়েক শো করোনা আক্রান্ত মহিলা ও পুরুষ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।বর্তমানে করোনার এই দ্বিতীয় ওয়েভেও ৫০ শয‍্যা বিশিষ্ট দুটি সেফহোমে প্রতি সপ্তাহে ৫০জন সুস্থ হয়ে উঠছেন,দীর্ঘ১বছর ধরে চলছে তাদের এই অক্লান্ত পরিষেবা,যা বাংলার গর্ব মমতা ব‍্যানাজীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সারা পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তদের সুরক্ষা ও চিকিৎসায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নিউব‍্যারাকপুর পৌরসভা।

রাজু নিজ হাতেই করেন Covid Test, দেন Vaccine, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হয়ে চলেছে তাঁর আন্তরিক স্নেহস্পর্শ, যা আজকের দিনে রোগী ও তার পরিবারের কাছে দুর্লভ।নিজেও হয়েছেন Covid আক্রান্ত ।সুস্থ হয়েই আবার শুরু করেছেন অক্লান্ত,বিরামহীন পরিষেবা দান।তাঁর কাঁধে ভর দিয়েই Safe Home এর bed সংখ্যা আরো বেড়েছে।মানুষের সুস্থতার লক্ষ্যে এ যেন তার ঐকান্তিক লড়াই, যেখানে নিজের জীবনও বোধহয় তুচ্ছ।তবুও তাঁর প্রশ্ন,তাঁর জিজ্ঞাসা,” আমি কি মানুষ হতে পেরেছি? “সত্যিই তিনি আমাদের মতো মানুষ নন,মানুষের অনেক উপরে তাঁর স্থান।দিনরাত এক করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত এক মহাপ্রাণ।