Dhaka ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে লেপ-তোষক তৈরীতে ব‍্যস্ত কারিগর 

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৬৬ Time View

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষকের কদর বাড়ছে। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রামে লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। যাকে বলা হয়ে থাকে হাড়কাঁপানো শীত। এ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে। নেপালের হিমালয় পর্বত উত্তরাঞ্চলের অনেকটা নিকটবর্তী হবার কারণে এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তাই এ অঞ্চলের মানুষের শীতকালে লেপ-তোষকের বেশী প্রয়োজন হয়। সেজন্য সবাই লেপ-তোষক তেরী করে নিতে বা ক্রয় করতে ছুটে চলে আসে বেডিং দোকানে। শিমুল তুলার লেপ-তোষক ও বালিশের সবচেয়ে চাহিদা বেশি রয়েছে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্যও অনেকটা বেশি। শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি ও কাবাস তুলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমানে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে লেপ পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি দরে তোষকও পাওয়া যাচ্ছে। নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের ভাই ভাই বেডিং হাউজের প্রো. মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন অনেক শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর অনেক অর্ডার আসছে। অনেকেই তাদের পছন্দের লেপ-তোষক তৈরী ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার ৩ জন শ্রমিকের সাথে নিজেও কাজে অনেকটা ব্যস্ত রয়েছি। এ সময়ে দ্রুতগতিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করে দিতে হচ্ছে। ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরী করে দিচ্ছি এবং বিক্রয় করছি। তুলা ও লেপ-তোষকের বাজার দর গত বছরের মতোই রয়েছে। তার শ্রমিক রবিউল ইসলাম রকি বলেন, আমরা ১২,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছি। এখন আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত আছি। শুধু নন্দীগ্রামে নয় সারাদেশে তথা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকেরা।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

নন্দীগ্রামে লেপ-তোষক তৈরীতে ব‍্যস্ত কারিগর 

Update Time : ১২:১৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষকের কদর বাড়ছে। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রামে লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। যাকে বলা হয়ে থাকে হাড়কাঁপানো শীত। এ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে। নেপালের হিমালয় পর্বত উত্তরাঞ্চলের অনেকটা নিকটবর্তী হবার কারণে এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তাই এ অঞ্চলের মানুষের শীতকালে লেপ-তোষকের বেশী প্রয়োজন হয়। সেজন্য সবাই লেপ-তোষক তেরী করে নিতে বা ক্রয় করতে ছুটে চলে আসে বেডিং দোকানে। শিমুল তুলার লেপ-তোষক ও বালিশের সবচেয়ে চাহিদা বেশি রয়েছে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্যও অনেকটা বেশি। শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি ও কাবাস তুলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমানে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে লেপ পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি দরে তোষকও পাওয়া যাচ্ছে। নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের ভাই ভাই বেডিং হাউজের প্রো. মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন অনেক শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর অনেক অর্ডার আসছে। অনেকেই তাদের পছন্দের লেপ-তোষক তৈরী ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার ৩ জন শ্রমিকের সাথে নিজেও কাজে অনেকটা ব্যস্ত রয়েছি। এ সময়ে দ্রুতগতিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করে দিতে হচ্ছে। ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরী করে দিচ্ছি এবং বিক্রয় করছি। তুলা ও লেপ-তোষকের বাজার দর গত বছরের মতোই রয়েছে। তার শ্রমিক রবিউল ইসলাম রকি বলেন, আমরা ১২,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছি। এখন আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত আছি। শুধু নন্দীগ্রামে নয় সারাদেশে তথা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকেরা।