Dhaka ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল দেশের মূল্যস্ফীতি কমছে: গভর্নর এবার ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির আব্দুল হামিদকে পালাতে দেওয়া হয়েছে : সারজিস সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ কর্মীদের সুরক্ষায় পার্ডিয়ান লাইফের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ঢাকায় নতুন প্রতিনিধি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পেল স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৬ জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না : মাহফুজ আলম ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫

সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক-শ্রমিকরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৫৩ Time View

সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক-শ্রমিকরা। এতে দেশের অন্যতম এই রফতানি খাতটি হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আলোচনা করে দ্রুত আইনটি সংশোধনের দাবি মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের।

মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জাহাজ মালিক, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছে তারা। ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে জাহাজের মাধ্যমে সাগরে মাছ ধরা।

দেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরছে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ২৫৮টি জাহাজ। বছরে আহরিত মাছের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টন। যার অর্ধেকই রফতানি হয়।

সদ্য পাস হওয়া আইনটি সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে বাধাগ্রস্ত করবে- বলছেন, জাহাজ মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা। আইনটি পরিপর্তনের দাবি তাদের।

মৎস্য আইন-২০২০ প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, যে ব্যক্তি দায়িত্ব নিয়ে সমুদ্রে যাবে তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এতে আপিলের কোন সুযোগ রাখা হয়নি, এটা তো কোন আইন হতে পারে না। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।

প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামশুল আলম রাশেদী বলেন, এই আইনটি বাস্তবায়ন করা হলে আমাদের মেরিন ফিসিং সেক্টরটা হুমকিতে পড়বে। এই সেক্টরটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সেক্টর। এখানে এর আগে কখনও ধর্মঘট হয়নি, অশান্তি কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়নি।

আইনটি নতুন করে সংশোধনের আগে অংশীজনের সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের মহাসচিব মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্নীতি করার যে সুযোগ, এগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।

সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে দেশের অন্যতম রফতানি খাতটি বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক-শ্রমিকরা

Update Time : ০৬:৪১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক-শ্রমিকরা। এতে দেশের অন্যতম এই রফতানি খাতটি হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আলোচনা করে দ্রুত আইনটি সংশোধনের দাবি মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের।

মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জাহাজ মালিক, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছে তারা। ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে জাহাজের মাধ্যমে সাগরে মাছ ধরা।

দেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরছে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ২৫৮টি জাহাজ। বছরে আহরিত মাছের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টন। যার অর্ধেকই রফতানি হয়।

সদ্য পাস হওয়া আইনটি সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে বাধাগ্রস্ত করবে- বলছেন, জাহাজ মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা। আইনটি পরিপর্তনের দাবি তাদের।

মৎস্য আইন-২০২০ প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, যে ব্যক্তি দায়িত্ব নিয়ে সমুদ্রে যাবে তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এতে আপিলের কোন সুযোগ রাখা হয়নি, এটা তো কোন আইন হতে পারে না। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।

প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামশুল আলম রাশেদী বলেন, এই আইনটি বাস্তবায়ন করা হলে আমাদের মেরিন ফিসিং সেক্টরটা হুমকিতে পড়বে। এই সেক্টরটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সেক্টর। এখানে এর আগে কখনও ধর্মঘট হয়নি, অশান্তি কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়নি।

আইনটি নতুন করে সংশোধনের আগে অংশীজনের সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের মহাসচিব মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্নীতি করার যে সুযোগ, এগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।

সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে দেশের অন্যতম রফতানি খাতটি বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।