করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সুন্দরবনের দুবলারচরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা হচ্ছে না। তবে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী রাসপূজা।
মেলার পরিবর্তে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগের বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে রাসপূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে কোনো মেলা বা উৎসব হয়নি।
আজ শুরু হয়ে আগামী সোমবার সকালে দুবলারচর-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে রাসপূজা শেষ হবে। পরিবেশবাদীরা সীমিত আকারে রাসপূজার অনুমতি দেওয়ায় বন বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে এবার শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, সুন্দরবনে প্রবেশ থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ভক্তদের। রাসপূজাগামী সব জলযানে এবং পূজাস্থলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী রাখতে হবে। রাসপূজার জন্য প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কোনো ট্রলার বা লঞ্চে ৫০ জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, রাসপূজায় প্রবেশের জন্য এবার পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন দুবলার চরের আলোরকোলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী রাস উৎসবের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. খন্দকার মুনিফ তকি জানান, সুন্দরবনের বনজ সম্পদ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ পুণ্যস্নানে আসা পুণ্যার্থীদের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কোস্টগার্ড নজরদারি শুরু করেছে। দুবলার চরে যাতায়াতের জন্য বন বিভাগ থেকে অনুমোদিত পাঁচটি রুটের সব নৌযানে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথভাবে তল্লাশি করবে। এসব নৌযান যেন সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী শিকার এবং অবৈধভাবে গাছ কাটতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ডের বিশেষ টহল অব্যাহত থাকবে।