Dhaka ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১৭১ জন করোনায় আক্রান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • ১৪৮ Time View

চীনের উহান থেকে গত বছরের শেষদিকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মাত্র ৭ মাসেই আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল। মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি বর্তমানে প্রতি মিনিটে বিশ্বের ১৭১ জন মানুষকে আক্রান্ত করছে। আর প্রতি সেকেন্ডে আক্রান্ত হচ্ছে ৩জন। নিউইয়র্ক টাইমস করোনা ভাইরাস ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান থেকে গত এক সপ্তাহের শনাক্তের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি সপ্তাহে গত ২২ জুলাই সর্বোচ্চ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সর্বনিম্ন ২ লাখ ২ হাজার ৩৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ জুলাই।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪৭ জন মানুষের দেহে। এর মধ্যে এই মহামারিতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৫১ জন। আর সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৯৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৪ জন। সেই হিসাবে বর্তমানে ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের মৃদু বা বেশি মাত্রায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

যে পরিমাণ মানুষ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তার অর্ধেকেরও বেশির অবস্থান মাত্র চারটি দেশে। এ চারটি দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ (২৪ দশমিক ৭ শতাংশ) ভূমি নিয়ে গড়ে ওঠা এই চার দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর পরিমাণ পুরো বিশ্বের ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ। আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৭ জন। মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ জন।

মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৪ জন। তবে মৃতের সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের তালিকায় ব্রাজিলের পরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান। দেশটির ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ২২ জন এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। পৃথিবীর মানচিত্রের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে থাকা ইউরেশিয়ান দেশ রাশিয়াতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৮৪৯ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৭৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২, ৮৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১৭১ জন করোনায় আক্রান্ত

Update Time : ০৭:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

চীনের উহান থেকে গত বছরের শেষদিকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মাত্র ৭ মাসেই আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল। মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি বর্তমানে প্রতি মিনিটে বিশ্বের ১৭১ জন মানুষকে আক্রান্ত করছে। আর প্রতি সেকেন্ডে আক্রান্ত হচ্ছে ৩জন। নিউইয়র্ক টাইমস করোনা ভাইরাস ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান থেকে গত এক সপ্তাহের শনাক্তের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি সপ্তাহে গত ২২ জুলাই সর্বোচ্চ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সর্বনিম্ন ২ লাখ ২ হাজার ৩৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ জুলাই।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪৭ জন মানুষের দেহে। এর মধ্যে এই মহামারিতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৫১ জন। আর সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৯৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৪ জন। সেই হিসাবে বর্তমানে ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের মৃদু বা বেশি মাত্রায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

যে পরিমাণ মানুষ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তার অর্ধেকেরও বেশির অবস্থান মাত্র চারটি দেশে। এ চারটি দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ (২৪ দশমিক ৭ শতাংশ) ভূমি নিয়ে গড়ে ওঠা এই চার দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর পরিমাণ পুরো বিশ্বের ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ। আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৭ জন। মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ জন।

মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৪ জন। তবে মৃতের সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের তালিকায় ব্রাজিলের পরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান। দেশটির ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ২২ জন এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। পৃথিবীর মানচিত্রের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে থাকা ইউরেশিয়ান দেশ রাশিয়াতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৮৪৯ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৭৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২, ৮৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।