Dhaka ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকারখানার দুর্নীতির সংবাদের পর তদন্ত, প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০
  • ১৪৩ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

গত ১১ নভেম্বর তদন্ত কমিটি রাজশাহীতে তদন্ত করেন, অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন ও তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে নেন। তদন্তের ১০ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রকৃত অপরাধীদের আড়ালের চেষ্টা করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেন, গত ১১ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহীতে এসে দূর্নীতিবাজদের আপ্যায়ন ও অতিথিয়ানে ছিলেন। তাদের সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে ঢাকায় ফেরেন আরেক দূর্নীতিবাজ ডিআইজি মাহাফুজুর রহমানের সাথে। কানাঘোষা চলছে তদন্তকে প্রভাবিত করে দূর্নীতিবাজরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন স্ব-স্থানে।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের ডি আই জি মাহাফুজুর রহমান ও অফিসের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অগনিত অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়। গত ৬ মাসে মোট ৪৫টি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেলে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহ সভাপতি সহ মোট ৫ জন সাংবাদিক বিষয়টি দৃষ্টি গোছর করতে পত্রিকার কাটিং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এরই পরিপেক্ষিতে মন্ত্রণালয় একজন যুগ্ম মহাপরিদর্শককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করে ডিআইজি ও উচ্চমান সহকারী এখনো স্ব-পদে বহায় তবিয়তে আছেন। জনমতে প্রশ্ন এত দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পরও কিভাবে তারা স্ব-পদে বহাল থাকে। এতে উক্ত দুর্নীতিবাজরা আরও দূর্নীতি অনিয়মের সুযোগ পাবে বলেও মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তদন্তের নিয়ম হলো কারও বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে উক্ত দপ্তর থেকে সাময়িকভাবে অন্যত্র রাখা। অন্যথায় সে তদন্তে প্রভাবিত করবে এটাই স্বাভাবিক।

নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দূর্নীতিবাজদের রোষানলে পড়ে ব্যক্তি আক্রোসে অন্য এক পরিদর্শককে বদলী করাও হয়েছে ইতিমধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে দূর্নীতিবাজদের বাঁচাতে বা ঘটনার মোড় অন্যদিকে নিতে এই পরিদর্শকের বদলী করা হয়েছে। তবে কাকে বদলী করা হয়েছে তা বলতে পারেনি ঐ ব্যক্তি।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন থেকে নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন উচ্চমানসহকারীর মাধ্যমে ডিআইজি মাহাফুজুর রহমান। উক্ত দপ্তরের চাকুরীর শুরু থেকে এখন অবদি প্রায় ৬-৭ বছর ধরে একই স্থানে আছেন অনেক পরিদর্শক। চাকুরীর বয়স ও স্থান নীতিমালা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর একই স্থানে চাকুরীর সুবাদে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। যদিও ৩ বছরের অধিক একই স্থানে থাকার নিয়ম নেই, তবুও নিজ জেলায় চাকুরী করে নিজ স্থানে ৫ বছরের অধিক সময় আছে।

তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধানকে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণানয়ের তদন্ত, তাই তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি কাউকে বলা যাবে না, তবে এটি এখনো তদন্তধীন আছে। তদন্ত শেষ হলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

কলকারখানার দুর্নীতির সংবাদের পর তদন্ত, প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ

Update Time : ০২:৫০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

গত ১১ নভেম্বর তদন্ত কমিটি রাজশাহীতে তদন্ত করেন, অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন ও তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে নেন। তদন্তের ১০ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রকৃত অপরাধীদের আড়ালের চেষ্টা করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেন, গত ১১ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহীতে এসে দূর্নীতিবাজদের আপ্যায়ন ও অতিথিয়ানে ছিলেন। তাদের সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে ঢাকায় ফেরেন আরেক দূর্নীতিবাজ ডিআইজি মাহাফুজুর রহমানের সাথে। কানাঘোষা চলছে তদন্তকে প্রভাবিত করে দূর্নীতিবাজরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন স্ব-স্থানে।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের ডি আই জি মাহাফুজুর রহমান ও অফিসের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অগনিত অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়। গত ৬ মাসে মোট ৪৫টি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেলে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহ সভাপতি সহ মোট ৫ জন সাংবাদিক বিষয়টি দৃষ্টি গোছর করতে পত্রিকার কাটিং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এরই পরিপেক্ষিতে মন্ত্রণালয় একজন যুগ্ম মহাপরিদর্শককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করে ডিআইজি ও উচ্চমান সহকারী এখনো স্ব-পদে বহায় তবিয়তে আছেন। জনমতে প্রশ্ন এত দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পরও কিভাবে তারা স্ব-পদে বহাল থাকে। এতে উক্ত দুর্নীতিবাজরা আরও দূর্নীতি অনিয়মের সুযোগ পাবে বলেও মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তদন্তের নিয়ম হলো কারও বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে উক্ত দপ্তর থেকে সাময়িকভাবে অন্যত্র রাখা। অন্যথায় সে তদন্তে প্রভাবিত করবে এটাই স্বাভাবিক।

নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দূর্নীতিবাজদের রোষানলে পড়ে ব্যক্তি আক্রোসে অন্য এক পরিদর্শককে বদলী করাও হয়েছে ইতিমধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে দূর্নীতিবাজদের বাঁচাতে বা ঘটনার মোড় অন্যদিকে নিতে এই পরিদর্শকের বদলী করা হয়েছে। তবে কাকে বদলী করা হয়েছে তা বলতে পারেনি ঐ ব্যক্তি।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন থেকে নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন উচ্চমানসহকারীর মাধ্যমে ডিআইজি মাহাফুজুর রহমান। উক্ত দপ্তরের চাকুরীর শুরু থেকে এখন অবদি প্রায় ৬-৭ বছর ধরে একই স্থানে আছেন অনেক পরিদর্শক। চাকুরীর বয়স ও স্থান নীতিমালা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর একই স্থানে চাকুরীর সুবাদে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। যদিও ৩ বছরের অধিক একই স্থানে থাকার নিয়ম নেই, তবুও নিজ জেলায় চাকুরী করে নিজ স্থানে ৫ বছরের অধিক সময় আছে।

তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধানকে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণানয়ের তদন্ত, তাই তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি কাউকে বলা যাবে না, তবে এটি এখনো তদন্তধীন আছে। তদন্ত শেষ হলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।