যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইটে হাউসে থাকাকালীন সময়ের স্মৃতি নিয়ে বই লিখেছেন। তাঁর লেখা ‘আ প্রমিজড ল্যান্ড’ বইটি ১৭ নভেম্বর প্রকাশ পায়। বইটি প্রথম দিনেই বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় ৯ লাখ কপি।
আর প্রথম দিনের বিক্রি এযাবতকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ‘আ প্রমিজড ল্যান্ড’।
ওবামার বইয়ের প্রকাশক পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস প্রথম সংস্করণ ৩৪ লাখ কপি ছাপিয়েছে। পেঙ্গুইন বলছে, ‘আ প্রমিজ ল্যান্ড’ বিক্রির পরিসংখ্যান দেখে তারা অবাক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের লেখা ‘মাই লাইফ’ এবং আরেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘ডিসিশন পয়েন্ট’ এই দুই বই মিলে যা বিক্রি হয়েছে তার চেয়েও বেশি বিক্রি হবে ওবামার লেখা এই বইটি বলে আশা করছে প্রকাশনী সংস্থাটি।
পদে থাকাকালীন যে কথা তিনি বলতে পারতেন না, এতো বছর পর সেসব বইয়ে তুলে ধরেছেন বারাক ওবামা। ফলে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ৮,৯০,০০০ কপি বিক্রির রেকর্ড করেছে বইটি। প্রকাশনী সংস্থা পেঙ্গুইন বলছে, ৭৬৮ পাতার ওই স্মৃতিকথা ২৫টি ভাষায় প্রকাশ করা হবে।
বইটিতে ওবামা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আইন, ২০১১ সালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
সদ্য প্রকাশিত বই প্রসঙ্গে ওবামা টুইট করেন, ‘একটি বই লিখে শেষ করার মতো অনুভূতির সঙ্গে আর কোনো কিছুর তুলনা হয় না। আমি এটি করতে পেরে গর্বিত।’
বইটিতে ওবামা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আইন, ২০১১ সালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আল–কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
এর আগে বারাক ওবামার আরও তিনটি বই প্রকাশ পেয়েছে। এগুলো হলো ‘ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার’, ‘দ্য অডাসিটি অব হোপ’ ও শিশুদের জন্য লেখা বই ‘অব দ্য আই সিং’। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন, যা পাঁচ মাসের মধ্যে ১ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের লেখা ‘মাই লাইফ’ প্রকাশের দিন ৪ লাখ কপি বিক্রি হয়। আর আরেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘ডিসিশন পয়েন্ট’ প্রকাশের দিন ২ লাখ ২০ হাজার কপি বিক্রি হয়। এই দুটি বই এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৪০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। এই রেকর্ড ছাড়িয়ে ওবামার লেখা ‘আ প্রমিজড ল্যান্ড’ কোথায় গিয়ে থামে তা এখন দেখার বিষয়।