প্রেমের রঙের আভিজাত্য
মিজানুর রহমান
তোমার রঙের আভিজাত্যে,
স্বর্ণালী আকাশের রামধনু
পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে, আজও বিমোহিত।
সমুদ্রসৈকতে ,তোমার রঙের আভিজাত্যের বর্নিল ছটা
উৎসবমুখরিত ধ্বনিতে পরিপূর্ণ।
প্রথম রঙের আভিজাত্য আজও গর্জায় আজও বর্ষায়;
যেন পূর্ণিমার রাত্রে দোল খেলায়।
প্রভাত আভায় , রবির স্বর্ণালী দৃশ্য
তোমার রঙের আভিজাত্যে ক্রন্দনরত।
নিয়তির কি পরিহাস!
অজস্র ধারায় প্রবাহিত
তোমার রঙের বৃষ্টি;
বৃষ্টি ধারায় নিজেকে বিলিয়ে
ভ্রান্ত পথিকেরা আজও মগ্ন স্নানে;
উৎসব আনন্দে চির পথসাথী যেন তোমার।
তোমার রঙের মোহনায়, পালতোলা নৌকায়,
বসে থাকা নিরব প্রেমিক আমি,
তোমার রঙের ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে আন্দোলিত আমি।
প্রিয় তোমার হাতের তৈরি
এক গ্লাস কুমড়োর জুস,
দগ্ধ হৃদয়কে শীতল করে রাঙিয়ে তোলে।
তোমার পরশের উষ্ণ ছোঁয়া ,একটু আদর,
পরিয়ে দেওয়া শেরওয়ানি, গলায় টাই এর বাঁধন,
একটু চুলগুলো আঁচড়িয়ে দেওয়া,
প্রিয় একটু বসো!
তড়িঘড়ি কফি নিয়ে আসি,
তুমি যেন আমার অফিস সময়ের অবেলা;
প্রিয় তুমি এমন কেন বলো?
এসবই কি তোমার রঙের আভিজাত্য?
তোমার রঙের-এই বর্ণালী আভিজাত্য
আমার হৃদয়ের শুভ্রতাকে রঙিন করে তোলে।
মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নানের সময়
তোমার সেই বেনারসির আঁচল দিয়ে চুল গুলি মুছিয়ে দেওয়া,
পরনে পাঞ্জাবি ধুতি পরিয়ে দেওয়া,
সকালে ডাক দিয়ে ঘুম ভাঙানো,
ঘুম ভেঙে গিয়েও মিছে মিছে ঘুমিয়ে থাকা,
তোমার সেই মিষ্টি ডাক এর আশায়
প্রিয় ওঠো …
অভ্রও যেন হতভম্ব তোমার এই বর্ণিল আভিজাত্যে।
সবই তো যেন তোমার রঙেরই আভিজাত্য
মনে পড়ে যেদিন আমায় অফিস থেকে ফিরতে
ঠান্ডা লেগে ছিল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম;
সারাক্ষণ তুমি পাশে ছিলে,
তোমার হাতের ছোঁয়ায় আমার ললাট উষ্ণ হয়েছিল।
তোমার নিরবধি দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা নয়নযুগল,
বেলাহীন আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিল আমায়;
এই বর্ণিল আভিজাত্য খুঁজে পাই তোমার রঙে।
তোমার অপেক্ষায়, বেলকানিতে উঁকিঝুঁকি,
ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে বসে থাকি,
কলেজ ক্যান্টিনে ঘোরাঘুরি,
কফি আড্ডায় তোমায় দেখি।
মৃদু হেসে ডেকে বল
একটু আমায় পাশে বসো,
হাত বাড়িয়ে কফি দিলে,
একটু তুমি খেয়ে বল;
তুমি আমায় কেমন রাখো?
প্রিয় তুমি ভালো থেকো;
তোমার এই অতুলনীয় রংয়ের আভিজাত্যে
আজও বিমোহিত যেন আমি।