Dhaka ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য ‘আইস’সহ ৬ জনকে গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
  • ২৪৭ Time View

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়া থেকে আনা মাদকদ্রব্য ‘আইস’সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, চন্দন রায়, সিরাজ, অভি, জুয়েল, রুবায়েদ ও ক্যানি। তাদের কাছে থেকে ৬শ’ গ্রাম ‘আইস’ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া, গুলশান, বনানী ও বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

‘আইস’ নতুন ধরণের মাদক উল্লেখ করে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এর ক্যামিকাল নাম মেথান ফিটামিন, উৎপত্তিস্থল অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চায়না। সেবু, ক্রিস্টাল ম্যাথ, ডি ম্যাথসহ আইসের আরও নাম রয়েছে। ১০ গ্রাম আইস মাদকের দাম ১ লাখ টাকা। এটি স্নায়ু উত্তেজক ড্রাগ। এটি গ্রহনে হরমন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হাজার গুন বৃদ্ধি পায়। ধুমপান আকারে, ইনজেক্ট ও ট্যাবলেট হিসেবে এটি গ্রহন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে এই ড্রাগ আনা হয়। সমাজের উচ্চবৃত্তরা এই ড্রাগের ক্রেতা। প্রতিবার আইস সেবনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। উচ্চবৃত্ত পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে এদেশে মার্কেট ধরতে বিদেশ থেকে মাদকদ্রব্য আইস আনা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে হৃদরোগ, অঙ্গ-প্রতঙ্গ ড্যামেজ, দাঁত খয়ে যাওয়াসহ ব্রেইন স্ট্রোক হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চন্দন রায় এই মাদকদ্রব্য আইসের মূল ডিলার। চন্দন তার প্রবাসি আত্মীয় শংকর বিশ্বাসের মাধ্যমে বিমানযোগে এগুলি সংগ্রহ করে ঢাকার খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য ‘আইস’সহ ৬ জনকে গ্রেফতার

Update Time : ০১:৫০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়া থেকে আনা মাদকদ্রব্য ‘আইস’সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, চন্দন রায়, সিরাজ, অভি, জুয়েল, রুবায়েদ ও ক্যানি। তাদের কাছে থেকে ৬শ’ গ্রাম ‘আইস’ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া, গুলশান, বনানী ও বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

‘আইস’ নতুন ধরণের মাদক উল্লেখ করে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এর ক্যামিকাল নাম মেথান ফিটামিন, উৎপত্তিস্থল অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চায়না। সেবু, ক্রিস্টাল ম্যাথ, ডি ম্যাথসহ আইসের আরও নাম রয়েছে। ১০ গ্রাম আইস মাদকের দাম ১ লাখ টাকা। এটি স্নায়ু উত্তেজক ড্রাগ। এটি গ্রহনে হরমন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হাজার গুন বৃদ্ধি পায়। ধুমপান আকারে, ইনজেক্ট ও ট্যাবলেট হিসেবে এটি গ্রহন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে এই ড্রাগ আনা হয়। সমাজের উচ্চবৃত্তরা এই ড্রাগের ক্রেতা। প্রতিবার আইস সেবনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। উচ্চবৃত্ত পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে এদেশে মার্কেট ধরতে বিদেশ থেকে মাদকদ্রব্য আইস আনা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে হৃদরোগ, অঙ্গ-প্রতঙ্গ ড্যামেজ, দাঁত খয়ে যাওয়াসহ ব্রেইন স্ট্রোক হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চন্দন রায় এই মাদকদ্রব্য আইসের মূল ডিলার। চন্দন তার প্রবাসি আত্মীয় শংকর বিশ্বাসের মাধ্যমে বিমানযোগে এগুলি সংগ্রহ করে ঢাকার খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।