Dhaka ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮৮ Time View

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আজও আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সার্বিক নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর, পলাশী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট, মালিবাগ রেলগেট বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও কাওরানবাজারে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন- প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদারকিকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কী-না তা মনিটরিং করা হয়।

এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার  টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

তদারকিকালে চাল, আলু, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকে এ অধিদপ্তর সবসময়ই স্বাগত জানায়। কিন্তু অসাধু ও অনৈতিক যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।’

এছাড়াও কোনও পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজধানীতে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা

Update Time : ০৫:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আজও আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সার্বিক নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর, পলাশী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট, মালিবাগ রেলগেট বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও কাওরানবাজারে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন- প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদারকিকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কী-না তা মনিটরিং করা হয়।

এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮১ হাজার  টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

তদারকিকালে চাল, আলু, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকে এ অধিদপ্তর সবসময়ই স্বাগত জানায়। কিন্তু অসাধু ও অনৈতিক যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।’

এছাড়াও কোনও পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।