Dhaka ০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচারের দাবীতে নির্যাতিত মরিয়মের সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
  • ১৩৬ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

অমানুষিক নির্যাতন সহ পুলিশের গাফলতির অভিযোগ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার খিদ্র লক্ষিপুর গ্রামের সেই নির্যাতিত মেয়ে।

৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় রাজশাহীর মডেল প্রেসক্লাবে সেই নির্যাতিত মেয়ে সহ তার বাবা ও মা লিখিত বক্তব্যে বলেন গত সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে বিকেল ৫টার দিকে নির্যাতিত মেয়ের বাড়ির সামনে থেকে একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে বখাটে খাইরুল জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে রাজশাহীতে তার পরিচিত এক বাড়িতে গিয়ে ১১দিন ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় খাইরুলের আরো তিনজন বন্ধু মিলে ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তাদের অত্যাচারে নির্যাতিত সেই মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অপহরনের ১১ দিন পর দুর্গাপুর উপজেলার ধোপা পাড়া গ্রামের অপহরনকারির এক পরিচিত বাড়িতে রেখে যায়। নির্যাতিত সেই মেয়ে বলেন আমি আমার মায়ের সাথে অসুস্থ অবস্থাতেই দুর্গাপুর থানায় মামলা করতে যাই, থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা না নিয়ে আমাকে আপোস মিমাংসার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

আমি কয়েক দিন পর ওসির মুঠো ফোনে ফোন দিলে ওসি আবারো মিমাংসার কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিত সেই মেয়ের বাবা স্থানিয়দের সাথে কথা বললে তারা রাজশাহী পুলিশ সুপারের নিকট যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের কথা মত নির্যাতিত মেয়ে তার বাবা মা সহ ২৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন, মাহমুদুল হাসানের সাথে দেখা করে সকল ঘটনা খুলে বলেন, এই ঘটনা শোনা মাত্রই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দুর্গাপুর থানাকে মামলা রেকর্ড করা সহ দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।সেই সাথে ওসি কে কঠোর নির্দেশনা দেন এই মামলা নিয়ে। সেই দিন বিকেলেই নির্যাতিত সেই মেয়ে তার মায়ের সাথে থানায় গেলে ওসি মামলা গ্রহন করেন শুধু অপহরনের।

তারা ধর্ষণের মামলা করতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মামলার পর থেকেই আসামি প্রকাশ্যেই ঘুরছে, পুলিশ লোক দেখানো অভিযান মাঝে মধ্যে করলেও ঘটনার ২ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোন আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হননি পুলিশ। মামলার বাদী আরো অভিযোগ করেন উল্টো আসামিরাই বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শন করছেন বাদীকে। বিষটি নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এমন ঘটনা নিয়ে আমার নিকট এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ন্যায় বিচারের দাবীতে নির্যাতিত মরিয়মের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ১২:০২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

অমানুষিক নির্যাতন সহ পুলিশের গাফলতির অভিযোগ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার খিদ্র লক্ষিপুর গ্রামের সেই নির্যাতিত মেয়ে।

৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় রাজশাহীর মডেল প্রেসক্লাবে সেই নির্যাতিত মেয়ে সহ তার বাবা ও মা লিখিত বক্তব্যে বলেন গত সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে বিকেল ৫টার দিকে নির্যাতিত মেয়ের বাড়ির সামনে থেকে একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে বখাটে খাইরুল জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে রাজশাহীতে তার পরিচিত এক বাড়িতে গিয়ে ১১দিন ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় খাইরুলের আরো তিনজন বন্ধু মিলে ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তাদের অত্যাচারে নির্যাতিত সেই মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অপহরনের ১১ দিন পর দুর্গাপুর উপজেলার ধোপা পাড়া গ্রামের অপহরনকারির এক পরিচিত বাড়িতে রেখে যায়। নির্যাতিত সেই মেয়ে বলেন আমি আমার মায়ের সাথে অসুস্থ অবস্থাতেই দুর্গাপুর থানায় মামলা করতে যাই, থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা না নিয়ে আমাকে আপোস মিমাংসার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

আমি কয়েক দিন পর ওসির মুঠো ফোনে ফোন দিলে ওসি আবারো মিমাংসার কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিত সেই মেয়ের বাবা স্থানিয়দের সাথে কথা বললে তারা রাজশাহী পুলিশ সুপারের নিকট যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের কথা মত নির্যাতিত মেয়ে তার বাবা মা সহ ২৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন, মাহমুদুল হাসানের সাথে দেখা করে সকল ঘটনা খুলে বলেন, এই ঘটনা শোনা মাত্রই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দুর্গাপুর থানাকে মামলা রেকর্ড করা সহ দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।সেই সাথে ওসি কে কঠোর নির্দেশনা দেন এই মামলা নিয়ে। সেই দিন বিকেলেই নির্যাতিত সেই মেয়ে তার মায়ের সাথে থানায় গেলে ওসি মামলা গ্রহন করেন শুধু অপহরনের।

তারা ধর্ষণের মামলা করতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মামলার পর থেকেই আসামি প্রকাশ্যেই ঘুরছে, পুলিশ লোক দেখানো অভিযান মাঝে মধ্যে করলেও ঘটনার ২ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোন আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হননি পুলিশ। মামলার বাদী আরো অভিযোগ করেন উল্টো আসামিরাই বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শন করছেন বাদীকে। বিষটি নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এমন ঘটনা নিয়ে আমার নিকট এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।