Dhaka ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • ১২২ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘শুধু নিজে ভাল থাকবো, সুন্দর ও আরাম আয়েশে থাকবো। আর আমার দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটাতো মানবতা না, এটাতো হয় না। কাজেই সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোন দরিদ্র থাকবে না।’

শেখ হাসিনা আজ সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুব সাহসী। তাঁদের নিয়ে যুদ্ধ করেই জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। কাজেই বিজয়ী জাতি হিসেবেই বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো।’

সে সময় বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানী বাহিনীর গর্বিত আচরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘তারা খুব গর্ব করতো, তাদের আবার কে হারাবে, কিন্তু বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেশাজীবী বলেন বা ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ থাকবে, যে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং যে গ্রামে জন্মেছেন তার উন্নয়নে যেন সহযোগিতা করেন।’

করোনার মধ্যে তাঁর সরকারের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘যাঁরা বিত্তশালী তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতেকেই যদি দুস্থদের দিকে যেন ফিরে তাকান। গৃহহীনকে ঘর করে দেন বা তাদের কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।’

তিনি সচিবগণের এই গৃহহীন প্রকল্প গ্রহণকে একটি মহৎ উদ্যোগ আখ্যায়িত করে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একটা ঘর করে দিয়েছেন, একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।’

আমি মনে করি, ভবিষ্যতে মানুষজন আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো,’ যোগ করেন তিনি।

মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার সরকারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সচিবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮০ জন সচিব নিজ নিজ এলাকায় ১৬০টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের দিয়েছেন।

সূত্র : বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

Update Time : ১০:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘শুধু নিজে ভাল থাকবো, সুন্দর ও আরাম আয়েশে থাকবো। আর আমার দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটাতো মানবতা না, এটাতো হয় না। কাজেই সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোন দরিদ্র থাকবে না।’

শেখ হাসিনা আজ সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুব সাহসী। তাঁদের নিয়ে যুদ্ধ করেই জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। কাজেই বিজয়ী জাতি হিসেবেই বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো।’

সে সময় বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানী বাহিনীর গর্বিত আচরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘তারা খুব গর্ব করতো, তাদের আবার কে হারাবে, কিন্তু বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেশাজীবী বলেন বা ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ থাকবে, যে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং যে গ্রামে জন্মেছেন তার উন্নয়নে যেন সহযোগিতা করেন।’

করোনার মধ্যে তাঁর সরকারের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘যাঁরা বিত্তশালী তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতেকেই যদি দুস্থদের দিকে যেন ফিরে তাকান। গৃহহীনকে ঘর করে দেন বা তাদের কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।’

তিনি সচিবগণের এই গৃহহীন প্রকল্প গ্রহণকে একটি মহৎ উদ্যোগ আখ্যায়িত করে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একটা ঘর করে দিয়েছেন, একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।’

আমি মনে করি, ভবিষ্যতে মানুষজন আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো,’ যোগ করেন তিনি।

মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার সরকারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সচিবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮০ জন সচিব নিজ নিজ এলাকায় ১৬০টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের দিয়েছেন।

সূত্র : বাসস