রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
৫ লক্ষ টাকার ঘুষের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০০ (একশত)পিচ ফেনসিডিলও একটি ট্রাক উদ্ধারসহ দুই পাচার কারিকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের এসআই সাইমন ইসলাম।
এমন একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ও নগরবাসির মুখে মুখে এখন ভাইরাল।
প্রবাদ আছে পুলিশের নামে, তারা নাকি ৫০/১০০ টাকাও ঘুষ নেন। পুলিশ সম্পর্কে এমন ধারণা রয়েছে অনেকের, ‘ঘুষ দিলেই পুলিশকে ম্যানেজ করা সম্ভব’। তবে এদের সংখ্যা অতি নগন্য।
পুলিশে সিংহ ভাগ কর্মকর্তাই সৎ। যারা কোটি টাকার ঘুষের অফারও ফিরিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে। কোটি টাকার লোভ সংবরণ করে দেশের স্বার্থে নিজের পেশাগত দায়িত্বকেই প্রাধান্য দেন তারা।
৫ লক্ষ টাকার ঘুষের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা মূল্যের১০০(একশত)পিছ ফেনসিডিল সহ একটি ট্রাক উদ্ধার করে এমনই এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ বা দৃস্টান্ত সৃষ্টি করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই সাইমন ইসলাম ও সংগীয় ফোর্স।
প্রচলিত পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের ধারণা পাল্টে দিয়ে এসআই সাইমন দেখিয়ে দিলেন, ‘ঘুষ দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়।
’পুলিশ বাহিনীতে সততার এমন উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করে সমগ্র রাজশাহী মহানগরী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ মহলে এখন তিনি আলোচিত। তার সততায় গৌরবান্বিত রাজশাহী মহনগর পুলিশসহ পুরো পুলিশ বাহিনী।
গত১২/১০/২০২০ অক্টোবর রাত ১১টার সময় নগরীর বেল পুকুর বাজারের মসজিদের কাছে ঢাকা মেট্রো DA -১১-৮১১৪ নং ট্রাক থেকে ১০০(একশত) পিচ ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করে।আটক কৃতরা হচ্ছে( ১) মোঃ রাজু আহমেদ রনি (২৪)পিতা.মোঃ মোনারুল ইসলাম মন্টু সাং শ্যামপুর পশ্চিম পাড়া।( ২) মোঃ শিবলু রহমান (২৫) পিতা. মোঃ মোতাহার আলী সাং মাসকাটাদিঘী উভয় থানা কাটাখালি মহানগর রাজশাহী।
বেলপুকুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন ।
ঘটনার পরপরই মাদক চোরাকারবারিদের গড ফাদারেরা বিভিন্ন ভাবে আসামীদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।
ঘটনার পর থেকে, পর দিন অর্থাত ১৩ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত প্রায় শত বার, এস আই সাইমন ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে আসামীদের ছেড়ে দেয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকার অফার দেন।এই অফার প্রত্যাখ্যান করলে ঐ গডফাদারেরা পুলিশের উপর মহলে তার নামে অভিযোগ করে হয়রানী ও চাকুরী চ্যুতের ভয়ও দেখান।
সকল লোভ লালসার উর্ধে থেকে নিজ কর্তব্য পালনে অনড় থেকে ওসির কথামত তিনি থানায় মামলা রুজ্জু করে আসামীদের আদালতে পাঠান।
সততার এ নজির স্থাপনকারী এসআই সাইমন ইসলাম দীর্ঘদিন নিষ্ঠা ও সততার সাথে, আরএমপিতে চাকুরী করেন। তার সততা ও কর্মদক্ষতার জন্য তিনি এই থানায় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।ভালো কাজের জন্য তিনি বহুবার শ্রেষ্ট অফিসারে ভূষিত হয়েছেন।পেয়েছে সম্মননা সনদ ও নগদ পুরুস্কার।
এমন সৎ অফিসার পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তী উজ্জল করে। তারা দেশ ও মানুষের অহংকার।