সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি হল খুলছে আজ। করোনা মহামারিতে দেশে সাধারণ ছুটি চলাকালীন গত ১৮ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিল্পকলা একাডেমি।
এসব হলে আপাতত সপ্তাহে দুই দিন নাটক মঞ্চায়ন হবে। এ দু’দিন হলো শুক্র ও শনিবার। তবে আগের মতো শতভাগ দর্শক নিয়ে নাটক প্রদর্শন করা যাবে না। আপাতত এক-তৃতীয়াংশ দর্শক নিয়ে নাটকের প্রদর্শনী চলবে।
শনিবার শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হবে ‘রাজার চিঠি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শাহজাদপুরের কাহিনি নিয়ে নাটকটি রচনা করেন মাহফুজা হিলালী। নির্দেশনায় দেবাশীষ ঘোষ।
স্টুডিও থিয়েটার হলে এ কে এ কবীর স্মরণে দুই দিনব্যাপী স্মরণ ও প্রেমাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী। শনিবার ও তার পরের দিন বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজন। প্রথম দিন থাকছে এ কে এ কবীরের লেখা গান, কবিতা ও স্মৃতিচারণ। দ্বিতীয় দিন মঞ্চায়িত হবে তিনটি নাটক। এগুলোর মধ্যে খেয়ালীর ‘যুদ্ধ, যুদ্ধ!’ মৈত্রী থিয়েটারের ‘চা অথবা কফি’। রামনাথ রায়ের রচনায় এর নির্দেশনা দিয়েছেন নিয়াজ আহমেদ এবং উৎস নাট্য দলের ‘পতাকায় বঙ্গবন্ধু’। রচনা ও নির্দেশনায় ইমরান হোসেন ইমু।
এ আয়োজন নিয়ে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ব্যতিক্রম একজন মানুষ ছিলেন খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এ কবীর। তিনি চেয়েছিলেন প্রেম, দিয়েছিলেন প্রেম। একটি মানবিক মানবসমাজ গঠনের লক্ষ্যে তিনি মানব হৃদয়ে প্রেমের বীজ বপনের প্রত্যাশার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নাটক। এই গুণী মানুষটিকে স্মরণ করতে আয়োজন করেছি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।’
শিল্পকলা একাডেমির হল খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার, আবারও মঞ্চ নাটক দর্শকরা দেখতে পারবেন। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও থিয়েটার হলটা খোলার বাকি ছিল। আমরা মঞ্চের জন্য নিবেদিত প্রাণ, মঞ্চকে ভালোবেসে কাজ করি। এখানে অর্থ নেই, আছে মানুষের ভালোবাসা। অবশেষে শিল্পকলা একাডেমির হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।