Dhaka ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

বিক্ষোভ ঠেকাতে থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯০ Time View

বিক্ষোভ ঠেকাতে থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। ব্যাংককে বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিহত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেআইনিভাবে বহু মানুষকে ব্যাংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের দাবি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির বিকল্প ছিল না।

পুলিশের ঘোষণায় বলা হয়েছে, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন ছিল।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হয়। তারা একইসঙ্গে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিও জানায়।

বিদেশভ্রমণ শেষে থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ঘোষণায় বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে এবং জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।

বুধবার রাজদম্পতি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানেই অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

জরুরি অবস্থা জারি করায় গণজমায়েত নিষিদ্ধের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপরেও খবর প্রকাশে বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো খবর প্রকাশ করতে পারবে না গণমাধ্যমগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির ফলে কর্তৃপক্ষ চাইলে সুনির্দিষ্ট কোনো এলাকায় মানুষের ঢোকা আটকাতে পারবে।

এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গত জুলাই মাস থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।

চলতি সপ্তাহেও দেশটির রাজধানীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৮ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। যদিও এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।

সরকারপক্ষের লোকদের সঙ্গে বিরোধীরা যেন সংঘর্ষ না জড়াতে পারে, সেজন্য দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে চারজন ব্যক্তি একসঙ্গে বাইরে থাকতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বিক্ষোভ ঠেকাতে থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি

Update Time : ০৬:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

বিক্ষোভ ঠেকাতে থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। ব্যাংককে বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিহত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেআইনিভাবে বহু মানুষকে ব্যাংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের দাবি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির বিকল্প ছিল না।

পুলিশের ঘোষণায় বলা হয়েছে, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন ছিল।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হয়। তারা একইসঙ্গে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিও জানায়।

বিদেশভ্রমণ শেষে থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ঘোষণায় বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে এবং জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।

বুধবার রাজদম্পতি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানেই অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

জরুরি অবস্থা জারি করায় গণজমায়েত নিষিদ্ধের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপরেও খবর প্রকাশে বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো খবর প্রকাশ করতে পারবে না গণমাধ্যমগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির ফলে কর্তৃপক্ষ চাইলে সুনির্দিষ্ট কোনো এলাকায় মানুষের ঢোকা আটকাতে পারবে।

এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গত জুলাই মাস থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।

চলতি সপ্তাহেও দেশটির রাজধানীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৮ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। যদিও এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।

সরকারপক্ষের লোকদের সঙ্গে বিরোধীরা যেন সংঘর্ষ না জড়াতে পারে, সেজন্য দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে চারজন ব্যক্তি একসঙ্গে বাইরে থাকতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে।