কোনও কর্পোরেট সংস্থাকে না পাওয়া গেলে নিজেদের অর্থায়নেই পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি।

আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে টুর্নামেন্টটি শুরু হবে এবং ঢাকা-সিলেটে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনো টুর্নামেন্টের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এটি কর্পোরেট টুর্নামেন্ট হোক বা বিসিবির ব্যয়ে হোক, আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে মাঠে খেলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে (কোভিড-১৯) কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকবে।’

পরিকল্পনা ঘোষণা করে পাপন বলেন, ‘আমরা পাঁচটি দল গঠন করবো। শক্তির দিক দিয়ে সবগুলো দলই প্রায় একইরকম হবে। যদি কোনও কর্পোরেট সংস্থা দল নিতে চায়, তবে তারা তা নিতে পারে। নয়তো বিসিবিই এটি পরিচালনা করবে। ঐ টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের অর্থ উপার্জনের কোন পরিকল্পনা নেই। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো- ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো এবং পরে আন্তর্জাতিক। এটি নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

এদিকে, আগামী জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বাগতিক হতে চায় বিসিবি। আর সেই লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলছে তারা। এরইমধ্যে ক্রিকেটাররা কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে মাঠে ফিরেছেন। প্রতিযোগিতামূলক ঘরোয়া ক্রিকেটের পরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছেন তারা।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। জানুয়ারিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের আগে বড় আকারে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায় বিসিবি। এজন্য, ঢাকা ও সিলেটে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি বড় আকারে করতে পারি।’ তিনি আর বলেন, বৃহত্তর আকারে এটি আয়োজন করতে পারলে দু’টি বিষয় তাদের পক্ষে কাজ করবে। একটি হলো- আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটকে বড় আকারে সাজানো যায়। দুই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশ দল যেন খুব শীঘ্রই মাঠে নামতে পারে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বিদেশী খেলোয়াড় খেলতে পারবেন কি-না, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান বিসিবি প্রধান। তিনি বলেন, ‘টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে বিদেশী খেলোয়াড়দের আনা হবে কি-না, এ ব্যাপারে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন নয় যে, আমরা বিদেশী খেলোয়াড় আনতে পারবো না।’

বিদেশী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি না থাকলেও লোকাল খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ দেখছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এখানে মাত্র পাঁচটি দল থাকবে। তাই বিদেশী খেলোয়াড়ের সুযোগ খুবই কম থাকছে। পাঁচ দলে ৭৫জন লোকাল খেলোয়াড় থাকবে এবং ৫৫ জন খেলবে। যদি আমরা দু’জন বিদেশী খেলোয়াড়কে সুযোগ দেই, তবে ১০ জন করে লোকাল খেলোয়াড় খেলতে পারবে না। এজন্য আমরা বিদেশী খেলোয়াড় আনবো কি-না, তা নিয়ে ভাবছি। আমাদের প্রথম ইচ্ছা- দেশের ক্রিকেটারদের খেলার পর্যাপ্ত সুযোগ করে দেওয়া।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে