Dhaka ০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফলনশীল পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানোর ওপর তাগিদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • ১২৩ Time View

উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমেই পেঁয়াজ সংকটের স্থায়ী সমাধান দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

এক্ষেত্রে দেশীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। তবে লক্ষ্য অর্জনে চাষীদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে উন্নত বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় সংরক্ষণাগার নির্মাণের তাগিদ দেন।

দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। আর উৎপাদন ২৫ থেকে ২৬ লাখ টনের মতো। তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতায় পণ্যটির প্রায় ২০ শতাংশই নষ্ট হয়। সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়ায় ১০ লাখ টনে।

এমন পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বর থেকেই পেঁয়াজ সরবরাহে টান পড়ে। আর ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে অস্থিরতা দেখা দেয় বাজারে।

তবে উৎপাদন বাড়িয়ে সংকট সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন পেঁয়াজ চাষে এগিয়ে থাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষকরা। ভর্তুকি মূল্যে উন্নত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার চান তারা।

পেঁয়াজ উৎপাদনকারীরা জানান, সরকার যদি কৃষকদেরকে কোল্ডস্টরেজ করে দেয় তাহলে বাইরে থেকে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।

চাষীদের দাবির সাথে অনেকটাই একমত এই কৃষি অর্থনীতিবিদ। আর কম সুদে ঋণ সহায়তা দেয়ারও পরামর্শ ক্যাবের সভাপতির।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে। তারা যদি সচেষ্ট হয় এবং সরকার, ব্যাংক সহায়তা করে তাহলে দুই চার বছরের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, ভাল উন্নতজাতের বীজ দুই ফলনশীল জাতের চাষাবাদ শুরু করলে এবং আমাদের কৃষক পর্যায়ে যদি লাভজনক সংরক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

আর কৃষি বিভাগ বলছে, উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ বাড়িয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে সরকার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ বলেন, প্রতি হেক্টরে যদি ১০ টন করে আবাদ করি, তাহলে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন এলাকা বৃদ্ধি করার ফলে আসবে। আমরা ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টরে যে আবাদ করি, এটাতে গড়ে ১০ টন করে প্রতি হেক্টরে ফলন পাই। আমরা চাচ্ছি প্রতি হেক্টরে ১ টন করে বৃদ্ধি করবো।

এদিকে, পেঁয়াজের নতুন সম্ভাবনাময় অঞ্চল হয়ে উঠছে ভোলা জেলার ৭৪টি চরাঞ্চল। কৃষি বিভাগ বলছে, এখানে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে। ফলনও আশাব্যঞ্জক।

সূত্র: ইটিভি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ফলনশীল পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানোর ওপর তাগিদ

Update Time : ০৯:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমেই পেঁয়াজ সংকটের স্থায়ী সমাধান দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

এক্ষেত্রে দেশীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। তবে লক্ষ্য অর্জনে চাষীদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে উন্নত বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় সংরক্ষণাগার নির্মাণের তাগিদ দেন।

দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। আর উৎপাদন ২৫ থেকে ২৬ লাখ টনের মতো। তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতায় পণ্যটির প্রায় ২০ শতাংশই নষ্ট হয়। সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়ায় ১০ লাখ টনে।

এমন পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বর থেকেই পেঁয়াজ সরবরাহে টান পড়ে। আর ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে অস্থিরতা দেখা দেয় বাজারে।

তবে উৎপাদন বাড়িয়ে সংকট সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন পেঁয়াজ চাষে এগিয়ে থাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষকরা। ভর্তুকি মূল্যে উন্নত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার চান তারা।

পেঁয়াজ উৎপাদনকারীরা জানান, সরকার যদি কৃষকদেরকে কোল্ডস্টরেজ করে দেয় তাহলে বাইরে থেকে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।

চাষীদের দাবির সাথে অনেকটাই একমত এই কৃষি অর্থনীতিবিদ। আর কম সুদে ঋণ সহায়তা দেয়ারও পরামর্শ ক্যাবের সভাপতির।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে। তারা যদি সচেষ্ট হয় এবং সরকার, ব্যাংক সহায়তা করে তাহলে দুই চার বছরের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, ভাল উন্নতজাতের বীজ দুই ফলনশীল জাতের চাষাবাদ শুরু করলে এবং আমাদের কৃষক পর্যায়ে যদি লাভজনক সংরক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

আর কৃষি বিভাগ বলছে, উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ বাড়িয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে সরকার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ বলেন, প্রতি হেক্টরে যদি ১০ টন করে আবাদ করি, তাহলে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন এলাকা বৃদ্ধি করার ফলে আসবে। আমরা ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টরে যে আবাদ করি, এটাতে গড়ে ১০ টন করে প্রতি হেক্টরে ফলন পাই। আমরা চাচ্ছি প্রতি হেক্টরে ১ টন করে বৃদ্ধি করবো।

এদিকে, পেঁয়াজের নতুন সম্ভাবনাময় অঞ্চল হয়ে উঠছে ভোলা জেলার ৭৪টি চরাঞ্চল। কৃষি বিভাগ বলছে, এখানে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে। ফলনও আশাব্যঞ্জক।

সূত্র: ইটিভি