Dhaka ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৬ রানে হারালো দিল্লি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩৩ Time View

দুশোর বেশি টার্গেট ছিল না। শারজার ছোট মাঠে করতে হত ১৮৫।  কিন্তু তার পরও ধুঁকতে দেখা গেল রাজস্থান রয়্যালসকে। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হল লড়াই। শ্রেয়াস আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস জিতল ৪৬ রানের বড়সড় ব্যবধানে।

একইসঙ্গে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্টে উঠে এল তালিকার শীর্ষে।

রান তাড়ায় রাজস্থানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাঁকড়ীয় নয়, এ বার অন্য ভাবে জস বাটলারকে ফেরালেন তিনি। অফস্পিনারকে মারতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন ওপেনার। যা ধরেছিলেন শিখর ধওয়ন। ৮ বলে ১৩ করে আউট হয়েছিলেন বাটলার। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে উঠেছিল ৪১।

তিনে নামা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও বেশিক্ষণ থাকেননি। নর্তিয়ের বলে ডিপ স্কোয়ার মিডউইকেটে সামনে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় তাঁর ক্য়াচ ধরলেন শিমরন হেটমায়ার। ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরেছিলেন স্মিথ। ৮.১ ওভারে ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান।

রাজস্থানের তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ১০.৩ ওভারে, ৭২ রানে। চারে নামা সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ৫) এই ম্যাচেও রান পেলেন না। প্রথম দুই ম্যাচে রানের পর তাঁর ব্যাট শান্তই থাকল এখনও পর্যন্ত। মার্কাস স্টোয়নিসের বলে হেটমায়ারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। চতুর্থ উইকেট পড়েছিল এর পরই। ১১.২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফিরেছিলেন মহীপাল লোমরোর (২ বলে ১)। অশ্বিনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে শর্ট কভারে অক্ষয় প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। চার ওভারে ২২ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন।

দুই উইকেট নিলেন স্টোয়নিসও। বাঁ-হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল একদিক আগলে রেখে টানছিলেন দলকে। কিন্তু মারতে গিয়ে স্টোয়নিসকে উইকেট দিলেন তিনি। ৩৬ বলে ৩৪ করে হলেন বোল্ড। ১২.১ ওভারে ৮২ রানে পড়ল রাজস্থানের পঞ্চম উইকেট। পরের ওভারে পড়ল ষষ্ঠ উইকেট। অক্ষর প্যাটেলের বলে কাগিসো রাবাদাকে ক্যাচ দিলেন অ্যান্ড্রু টাই (৬ বলে ৬)। ৯০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর সপ্তম উইকেট পড়েছিল ১০০ রানে। রাবাদার বলে শ্রেয়াস আয়ারকে ক্য়াচ দিলেন জোফ্রা আর্চার (৪ বলে ২)।

এই পরিস্থিতি থেকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। কিন্তু, শেষ ওভারে ৪৯ রান তোলা অসম্ভব ছিল। আর রাবাদার প্রথম ডেলিভারিই মারতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনলেন তিনি। ২৯ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি। ১৩৬ রানে  পড়ল রাজস্থানের নবম উইকেট। দশম উইকেট পড়ল কয়েক বল পরে। রাবাদার বলে উইকেটকিপার ঋষভ পন্থকে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন বরুণ অ্যারন (২ বলে ১)। দিল্লির সফলতম বোলার রাবাদা (৩-৩৫)। তবে অশ্বিন-স্টোয়নিসই মাঝের পর্বে ভাঙন ধরিয়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৬ রানে হারালো দিল্লি

Update Time : ০২:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

দুশোর বেশি টার্গেট ছিল না। শারজার ছোট মাঠে করতে হত ১৮৫।  কিন্তু তার পরও ধুঁকতে দেখা গেল রাজস্থান রয়্যালসকে। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হল লড়াই। শ্রেয়াস আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস জিতল ৪৬ রানের বড়সড় ব্যবধানে।

একইসঙ্গে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্টে উঠে এল তালিকার শীর্ষে।

রান তাড়ায় রাজস্থানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাঁকড়ীয় নয়, এ বার অন্য ভাবে জস বাটলারকে ফেরালেন তিনি। অফস্পিনারকে মারতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন ওপেনার। যা ধরেছিলেন শিখর ধওয়ন। ৮ বলে ১৩ করে আউট হয়েছিলেন বাটলার। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে উঠেছিল ৪১।

তিনে নামা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও বেশিক্ষণ থাকেননি। নর্তিয়ের বলে ডিপ স্কোয়ার মিডউইকেটে সামনে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় তাঁর ক্য়াচ ধরলেন শিমরন হেটমায়ার। ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরেছিলেন স্মিথ। ৮.১ ওভারে ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান।

রাজস্থানের তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ১০.৩ ওভারে, ৭২ রানে। চারে নামা সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ৫) এই ম্যাচেও রান পেলেন না। প্রথম দুই ম্যাচে রানের পর তাঁর ব্যাট শান্তই থাকল এখনও পর্যন্ত। মার্কাস স্টোয়নিসের বলে হেটমায়ারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। চতুর্থ উইকেট পড়েছিল এর পরই। ১১.২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফিরেছিলেন মহীপাল লোমরোর (২ বলে ১)। অশ্বিনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে শর্ট কভারে অক্ষয় প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। চার ওভারে ২২ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন।

দুই উইকেট নিলেন স্টোয়নিসও। বাঁ-হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল একদিক আগলে রেখে টানছিলেন দলকে। কিন্তু মারতে গিয়ে স্টোয়নিসকে উইকেট দিলেন তিনি। ৩৬ বলে ৩৪ করে হলেন বোল্ড। ১২.১ ওভারে ৮২ রানে পড়ল রাজস্থানের পঞ্চম উইকেট। পরের ওভারে পড়ল ষষ্ঠ উইকেট। অক্ষর প্যাটেলের বলে কাগিসো রাবাদাকে ক্যাচ দিলেন অ্যান্ড্রু টাই (৬ বলে ৬)। ৯০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর সপ্তম উইকেট পড়েছিল ১০০ রানে। রাবাদার বলে শ্রেয়াস আয়ারকে ক্য়াচ দিলেন জোফ্রা আর্চার (৪ বলে ২)।

এই পরিস্থিতি থেকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। কিন্তু, শেষ ওভারে ৪৯ রান তোলা অসম্ভব ছিল। আর রাবাদার প্রথম ডেলিভারিই মারতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনলেন তিনি। ২৯ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি। ১৩৬ রানে  পড়ল রাজস্থানের নবম উইকেট। দশম উইকেট পড়ল কয়েক বল পরে। রাবাদার বলে উইকেটকিপার ঋষভ পন্থকে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন বরুণ অ্যারন (২ বলে ১)। দিল্লির সফলতম বোলার রাবাদা (৩-৩৫)। তবে অশ্বিন-স্টোয়নিসই মাঝের পর্বে ভাঙন ধরিয়েছিলেন।