Dhaka ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

রাজশাহীকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে চায় এসপি মাসুদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৪৪ Time View

 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেছেন, আমাদের যে কোনো কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে।

আমরা রাজশাহীর আট থানার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই।আমরা দুর্নীতি, মাদক এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই।তিনি বলেন, সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী।কোন দল কোন মত আমরা চিনি না।আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে।সেটার পরিবর্তন হয়নি।আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।এসপি বলেন, রাজশাহীর একটা সমস্যা আছে।এতদিন দূর থেকে জেনে এসেছি যে, এখানে এক সময় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল।সেটা যদিও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এদের বিশ্বাস করা যায় না।এরা যে কোনো সময় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।এখানে সর্বহারা নামে যে একটা গ্রুপ ছিল তাদেরও এখন আর প্রভাব নেই।যে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনার ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে আমাদের অবস্থান থাকবে একদম কঠোর মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে ও ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি এবিএম মাসুদের পরিচয়বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রায়াত স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাদের হাওলাদারের পুত্র এসপি এবিএম মাসুদ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তাতে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে।এসপি এবিএম মাসুদের বাবা স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাদের হাওলাদার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।মেঘনা নদী ভাঙনের পর গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ উলানিয়ার রাজাপুরে এসপি এবিএম মাসুদের বাবা বসবাস শুরু করেন।এবিএম মাসুদের পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় ভাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।মেঝো ভাই টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ার, থাকেন ঢাকায়।অপর দুই ভাইয়ের একজন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আরেক ভাই একই উপজেলার পাতারহাটে সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছেন।

সাহসিকতা,বীরত্বপূর্ণ অবদান, দৃষ্টান্তমূলক সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ কক্সবাজারের সাবেক এই পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক পান ৫ জানুয়ারি ২০২০ সালে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক প্রদান ও ব্যাজ পরিয়ে দেন।এ কৃতিত্বপূর্ণ পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁর নামের শেষে (বার) শব্দটি লিখবেন। অর্থাৎ ‘বার’ শব্দটির মাধ্যমে একাধিকবার এই বিপিএম পদক পেয়েছেন বুঝানো হয়েছে।বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২০২০ সালে একমাত্র পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এই রাষ্ট্রীয় পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছিলেন।বাকী ৬৩ জেলার কোন এসপি এবার বিপিএম কিংবা পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

রাজশাহীকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে চায় এসপি মাসুদ

Update Time : ০৩:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেছেন, আমাদের যে কোনো কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে।

আমরা রাজশাহীর আট থানার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই।আমরা দুর্নীতি, মাদক এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই।তিনি বলেন, সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী।কোন দল কোন মত আমরা চিনি না।আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে।সেটার পরিবর্তন হয়নি।আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।এসপি বলেন, রাজশাহীর একটা সমস্যা আছে।এতদিন দূর থেকে জেনে এসেছি যে, এখানে এক সময় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল।সেটা যদিও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এদের বিশ্বাস করা যায় না।এরা যে কোনো সময় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।এখানে সর্বহারা নামে যে একটা গ্রুপ ছিল তাদেরও এখন আর প্রভাব নেই।যে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনার ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে আমাদের অবস্থান থাকবে একদম কঠোর মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে ও ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি এবিএম মাসুদের পরিচয়বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রায়াত স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাদের হাওলাদারের পুত্র এসপি এবিএম মাসুদ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তাতে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে।এসপি এবিএম মাসুদের বাবা স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাদের হাওলাদার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।মেঘনা নদী ভাঙনের পর গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ উলানিয়ার রাজাপুরে এসপি এবিএম মাসুদের বাবা বসবাস শুরু করেন।এবিএম মাসুদের পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় ভাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।মেঝো ভাই টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ার, থাকেন ঢাকায়।অপর দুই ভাইয়ের একজন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আরেক ভাই একই উপজেলার পাতারহাটে সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছেন।

সাহসিকতা,বীরত্বপূর্ণ অবদান, দৃষ্টান্তমূলক সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ কক্সবাজারের সাবেক এই পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক পান ৫ জানুয়ারি ২০২০ সালে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক প্রদান ও ব্যাজ পরিয়ে দেন।এ কৃতিত্বপূর্ণ পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁর নামের শেষে (বার) শব্দটি লিখবেন। অর্থাৎ ‘বার’ শব্দটির মাধ্যমে একাধিকবার এই বিপিএম পদক পেয়েছেন বুঝানো হয়েছে।বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২০২০ সালে একমাত্র পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এই রাষ্ট্রীয় পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছিলেন।বাকী ৬৩ জেলার কোন এসপি এবার বিপিএম কিংবা পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হননি।