রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পড়েছেন ভয়াবহ বন্যার কবলে। দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি থেকে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন এসব অঞ্চলের দিনমজুর-ক্ষেতমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। অভাব দেখা দিয়েছে গোখাদ্যেরও ।
এরই মধ্যে খাদ্য সংকটে থাকা ওই সকল বন্যা কবলিত মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। নৌকা নিয়ে প্রায় ২০ কি:মি: পানি বন্ধী এলাকার মানুষের কাছে ত্রান সামগ্রী পৌছাতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের উদ্দোগে প্রান ফিরে পেয়েছে বাগমারার পানিবন্দী সাধারন মানুষ। ছোট,বড় নির্বিশেষে সকলের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছাতে ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে দিয়েছেন এই সাংসদ।
উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের ত্রান নিতে আসা ৮০ বছর বয়স্ক ফজিলা খাতুন বলেন – আমাদের এমপিকে নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই কারন তিনি নিজ উদ্দোগে আমাদের কাছে ত্রান নিয়ে এসেছেন। আমি দোয়া করি সে যেন অনেক বড় হয়।
ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দিন মজুর জাব্বার বলেন – আলহামদুলিল্লাহ ত্রান পেয়েছি। এমপি সাহেব নিজে এসে ত্রান দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। তার সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটছে নেতাকর্মীরাও। এভাবে পরম মমতায় মানুষের পাশে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ভোররাত থেকে ছুটে যাচ্ছেন এই সংসদ সদস্য।
যেখানে সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার) তার সংস্পর্শ পেতেন এলাকার মানুষ, সেখানে সপ্তাহে দুই তিন দিন এখন বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে রয়েছেন। ভালবাসার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে নিতে তার এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বন্যার পানিতে ঘেরা হাসপাতালে পানি মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে পৌছে চিকিৎসার খোঁজ খবরও নিচ্ছেন এই সাংসদ।
সব মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে কি-এমন প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, লোকজন যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগেও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু যে মানুষগুলো হাওরের বিলের মধ্যে পড়ে আছে, উপজেলায় ত্রাণ নিতে আসতে পারছে না, সেসব এলাকায় ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করছি আমরা । বন্যায় যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদেরকে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, কৃষি অফিসার রাজিবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাসুদুর রহমান, চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান, আয়েন উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।