Dhaka ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ ইন্টারপোলে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন বিচার-সংস্কার-গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে এনসিপি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন হুনানের গভর্নর

পেঁয়াজের পর এবার বাড়ছে চালের দাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৩৩ Time View

পেঁয়াজের পর এবার বাড়ছে চালের দাম। বাজারে সব ধরনের চাল এখন ঊর্ধ্বমুখী। খুচরা পর্যায়ে মাঝারি মানের আটাশ চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বাড়তির দিকে।

তবে আমন ওঠার পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো গেলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘গত ১৫ দিনে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আগের মাস থেকে ধরলে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।’

তবে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বিশেষ করে, ২৮ চালে কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ এমন দরবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে আসা কয়েকজন জানান, ‘গত মাসে চাল কিনেছি ১৪শ’ ৭০ টাকায়, যা আজকে নিচ্ছে দেড় হাজারের বেশি। দাম বাড়লে তো আর খাওয়া বন্ধ থাকবে না। বেতনের সঙ্গে যদি সামঞ্জ্য করি, তাহলে তো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে আমাদের।’ এমতাবস্থায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ ভোক্তাদের।

এদিকে, চালের দরবৃদ্ধিতে মিল মালিকদের দায়ী করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘টিসিবি কিংবা অন্য যেকোন মাধ্যমে বাজারে চাল ঢুকাতে পারলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।’ তবে মিলাররা বলছেন ভিন্ন কথা। চালের দাম বাড়ার পেছনে ধানের মূল্য বৃদ্ধিকেই প্রধান কারণ মনে করছেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কি করে ইচ্ছাকৃতভাবে ২৬শ’ বা তার অধিক দামে চাল বিক্রি করতে পারি। আমরা বাধ্য হয়ে বাড়াচ্ছি। ধানের বাজার তো আর নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ না, সেটা সরকারের কাজ।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

পেঁয়াজের পর এবার বাড়ছে চালের দাম

Update Time : ১০:৩২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

পেঁয়াজের পর এবার বাড়ছে চালের দাম। বাজারে সব ধরনের চাল এখন ঊর্ধ্বমুখী। খুচরা পর্যায়ে মাঝারি মানের আটাশ চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বাড়তির দিকে।

তবে আমন ওঠার পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো গেলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘গত ১৫ দিনে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আগের মাস থেকে ধরলে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।’

তবে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বিশেষ করে, ২৮ চালে কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ এমন দরবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে আসা কয়েকজন জানান, ‘গত মাসে চাল কিনেছি ১৪শ’ ৭০ টাকায়, যা আজকে নিচ্ছে দেড় হাজারের বেশি। দাম বাড়লে তো আর খাওয়া বন্ধ থাকবে না। বেতনের সঙ্গে যদি সামঞ্জ্য করি, তাহলে তো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে আমাদের।’ এমতাবস্থায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ ভোক্তাদের।

এদিকে, চালের দরবৃদ্ধিতে মিল মালিকদের দায়ী করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘টিসিবি কিংবা অন্য যেকোন মাধ্যমে বাজারে চাল ঢুকাতে পারলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।’ তবে মিলাররা বলছেন ভিন্ন কথা। চালের দাম বাড়ার পেছনে ধানের মূল্য বৃদ্ধিকেই প্রধান কারণ মনে করছেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কি করে ইচ্ছাকৃতভাবে ২৬শ’ বা তার অধিক দামে চাল বিক্রি করতে পারি। আমরা বাধ্য হয়ে বাড়াচ্ছি। ধানের বাজার তো আর নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ না, সেটা সরকারের কাজ।’