পেঁয়াজের পর এবার বাড়ছে চালের দাম। বাজারে সব ধরনের চাল এখন ঊর্ধ্বমুখী। খুচরা পর্যায়ে মাঝারি মানের আটাশ চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বাড়তির দিকে।
তবে আমন ওঠার পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো গেলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘গত ১৫ দিনে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আগের মাস থেকে ধরলে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।’
তবে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বিশেষ করে, ২৮ চালে কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ এমন দরবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে আসা কয়েকজন জানান, ‘গত মাসে চাল কিনেছি ১৪শ’ ৭০ টাকায়, যা আজকে নিচ্ছে দেড় হাজারের বেশি। দাম বাড়লে তো আর খাওয়া বন্ধ থাকবে না। বেতনের সঙ্গে যদি সামঞ্জ্য করি, তাহলে তো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে আমাদের।’ এমতাবস্থায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ ভোক্তাদের।
এদিকে, চালের দরবৃদ্ধিতে মিল মালিকদের দায়ী করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘টিসিবি কিংবা অন্য যেকোন মাধ্যমে বাজারে চাল ঢুকাতে পারলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।’ তবে মিলাররা বলছেন ভিন্ন কথা। চালের দাম বাড়ার পেছনে ধানের মূল্য বৃদ্ধিকেই প্রধান কারণ মনে করছেন তারা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কি করে ইচ্ছাকৃতভাবে ২৬শ’ বা তার অধিক দামে চাল বিক্রি করতে পারি। আমরা বাধ্য হয়ে বাড়াচ্ছি। ধানের বাজার তো আর নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ না, সেটা সরকারের কাজ।’