ব্যাট হাতে পাদিক্কাল ও ডে’ভিলিয়ার্স এবং বল হাতে চাহালের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে জয় দিয়েই আইপিএল অভিযান শুরু করল আরসিবি। যদিও জয় ও আরসিবির মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেয়ারস্টো। কিন্তু ঠিক সময়ে তাঁকে ফেরান চাহাল। এরপর আর আরসিবিকে জয় ছিনিয়ে নিতে কেউ আটকাতে পারেনি। ম্যাচটি ১০ রানে জেতে বেঙ্গালুরু।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠায় হায়দরাবাদ। তবে শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তোলেন রয়্যালের তরুণ তুর্কি দেবদত্ত পাদিক্কাল। অভিষেক ম্যাচেই ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিনি লিস্ট এ, ফার্স্ট ক্লাস, টি২০ ও আইপিএল, সব অভিষেক ম্যাচেই অর্ধশত রান করলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ফিঞ্চ। দুজনে মিলে প্রথম উইকেটে ৯০ রান যোগ করেন। তবে দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে কোহলি করেন মাত্র ১৪ রান। তবে আসল খেলাটি দেখান ডে’ভিলিয়ার্স। ৩০ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান হায়দরাবাদের মিচেল মার্শ। শেষমেষ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে আরসিবি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বেয়ারস্টো ও মনীশ পাণ্ডে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ৩৪ রান করে পাণ্ডে আউট হলেও হায়দরাবাদের ইনিংস টেনে নিয়ে যান বেয়ারস্টো।যদিও দুবার তাঁর ক্যাচ ফস্কায় আরসিবি। শেষমেষ ৬১ রান করে চাহালের শিকার হন তিনি। তার পরের বলেই বিজয় শঙ্করকেও ফেরান চাহাল। পরপর উইকেট খুইয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে সানরাইজার্স। এরই মাঝে রান নিতে গিয়ে সতীর্থ অভিষেক শর্মার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন রশিদ খান। শেষমেষ ১৫৩ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। তিন উইকেট নেন চাহাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে