খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। এ সময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৩ শতাংশ। আজ রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা বেজে ৪৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্থ হবে সন্ধ্যা ৫ টা বেজে ৫৭ মিনিটে।
আবহাওয়ার সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পাশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে। আগামী ২০ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৬টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ায় বলা হয়েছে, এসব এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব/পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটা বেগে বয়ে যেত পারে। সকাল ৬টায় ঢাকার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।