Dhaka ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

একনেকে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১০৪ Time View

 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পসহ মোট চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যার ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বৈদেশিক ঋণ।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, একনেকে অনুমোদিত ৪ প্রকল্পের মধ্যে ৩টি সংশোধিত প্রকল্প ও ১টি নতুন প্রকল্প রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি তা সংরক্ষণ করা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় শামুক উৎপাদন সংষোজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শামুক থেকে ভাল মানের চুন পাওয়া যায়, যা ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস্য। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ঝিনুক থেকে ভাল মানের মুক্তাও আহরণ করা যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রায় মূল্যবান দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই, ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ভিত্তি বছর ২০১৭-১৮ এর উৎপাদন ৩ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন হতে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ প্রদর্শনী ও ১৫টি শামুকের প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০ ইউনিট খাঁচায় মাছ চাষ প্রদর্শনী, ১১০টি ধানক্ষেতে মাছচাষ প্রদর্শনী ও ৩৯২টি পেনে মাছ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): রাজউক (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর এর অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

– বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

একনেকে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন

Update Time : ০৪:১৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পসহ মোট চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যার ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বৈদেশিক ঋণ।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, একনেকে অনুমোদিত ৪ প্রকল্পের মধ্যে ৩টি সংশোধিত প্রকল্প ও ১টি নতুন প্রকল্প রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি তা সংরক্ষণ করা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় শামুক উৎপাদন সংষোজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শামুক থেকে ভাল মানের চুন পাওয়া যায়, যা ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস্য। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ঝিনুক থেকে ভাল মানের মুক্তাও আহরণ করা যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রায় মূল্যবান দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই, ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ভিত্তি বছর ২০১৭-১৮ এর উৎপাদন ৩ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন হতে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ প্রদর্শনী ও ১৫টি শামুকের প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০ ইউনিট খাঁচায় মাছ চাষ প্রদর্শনী, ১১০টি ধানক্ষেতে মাছচাষ প্রদর্শনী ও ৩৯২টি পেনে মাছ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): রাজউক (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর এর অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

– বাসস