Dhaka ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বিশ্বজুড়ে ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই তৃতীয়াংশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৬০ Time View

বিশ্বজুড়ে ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই তৃতীয়াংশ। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এর একটি প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অসচেতনতা আর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তার এ পরিস্থিতির জন্যে দায়ী। সচেতন না হলে মানুষের স্বাস্থ্য ও আর্থিক নিরাপত্তা সমস্যায় পড়বে। ঝুঁকির মুখে পড়বে প্রজাতি হিসেবে মানুষের অস্তিত্ব।

জলবায়ু পরিবর্তন, নানা রকম দূষণ ও সামুদ্রিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে আজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগত বিপন্ন। সেইসাথে, কমতে শুরু করেছে সমুদ্রের অর্থনৈতিক-উপযোগিতা।

অনেকটা সময় ধরেই কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ভোগ-বিলাস ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিধি বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৫০ বছরে স্থলভূমির তিন-চতুর্থাংশ, আর সাগরের ৪০ শতাংশ প্রাণ-বৈচিত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পরিবেশ-প্রকৃতির ক্ষয় দ্রুততর হয়েছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, বন উজাড় এবং কৃষি সম্প্রসারণের ফলে ১৯৭০-২০১৬ সালের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংখ্যা কমেছে ৬৮ শতাংশের বেশি। এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নানা ধরনের মহামারীর শঙ্কা আরও বেড়ে যেতে পারে।

বন উজাড়, লাগামহীন সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং বন্য প্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস করে মানুষ নিজেদেরই ক্ষতি করছে বলে জানান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী তানিয়া স্টিল।

মানুষের  স্বাস্থ্য, আর্থিক সুরক্ষা এবং প্রজাতি হিসেবে বেঁচে থাকার তাগিদেই সকলকে সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

বিশ্বজুড়ে ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই তৃতীয়াংশ

Update Time : ০৭:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিশ্বজুড়ে ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই তৃতীয়াংশ। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এর একটি প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অসচেতনতা আর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তার এ পরিস্থিতির জন্যে দায়ী। সচেতন না হলে মানুষের স্বাস্থ্য ও আর্থিক নিরাপত্তা সমস্যায় পড়বে। ঝুঁকির মুখে পড়বে প্রজাতি হিসেবে মানুষের অস্তিত্ব।

জলবায়ু পরিবর্তন, নানা রকম দূষণ ও সামুদ্রিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে আজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগত বিপন্ন। সেইসাথে, কমতে শুরু করেছে সমুদ্রের অর্থনৈতিক-উপযোগিতা।

অনেকটা সময় ধরেই কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ভোগ-বিলাস ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিধি বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৫০ বছরে স্থলভূমির তিন-চতুর্থাংশ, আর সাগরের ৪০ শতাংশ প্রাণ-বৈচিত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পরিবেশ-প্রকৃতির ক্ষয় দ্রুততর হয়েছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, বন উজাড় এবং কৃষি সম্প্রসারণের ফলে ১৯৭০-২০১৬ সালের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংখ্যা কমেছে ৬৮ শতাংশের বেশি। এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নানা ধরনের মহামারীর শঙ্কা আরও বেড়ে যেতে পারে।

বন উজাড়, লাগামহীন সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং বন্য প্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস করে মানুষ নিজেদেরই ক্ষতি করছে বলে জানান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী তানিয়া স্টিল।

মানুষের  স্বাস্থ্য, আর্থিক সুরক্ষা এবং প্রজাতি হিসেবে বেঁচে থাকার তাগিদেই সকলকে সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি।