Dhaka ০৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১০০ Time View

ঢাকা ও বুদাপেস্ট পারমাণবিক শক্তি খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এদিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে হাঙ্গেরি এখানে কনস্যুলেট অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার সফররত হাঙ্গেরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা প্রকাশিত হয়।

বৈঠকের পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের পক্ষে কূটনীতিকদের জন্য পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে দুটি দলিলে স্বাক্ষর করেন।

সিজ্জার্তো সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা পারমাণবিক প্রকৌশলী এবং পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের (বাংলাদেশের) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছি।

হাঙ্গেরি প্রথম ১৯৮০ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে। তারা বর্তমানে রাশিয়ান রোসাটমের মাধ্যমে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে।

মোমেন বলেন, আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একই কোম্পানি কতৃক নির্মিত যারা সেখানে (হাঙ্গেরিতে) (পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) নির্মাণ করেছে। তারা (হাঙ্গেরি) এর উপর (পারমাণবিক শক্তি) ৪০ বছরের দক্ষ। তাই আমরা প্রতি বছর প্রায় ৩০ জন ছাত্রকে পারমাণবিক গবেষণার জন্য হাঙ্গেরিতে পাঠাবো।

সিজ্জার্তো আরও বলেন, আমাদের কাছে একই ধরনের চুল্লী আছে, একই ধরনের কাঠামো… তাই পারমাণবিক প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে (ঢাকা ও বুদাপেস্টের মধ্যে) সহযোগিতার এটাই সুযোগ।

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে তার সরকার ঢাকায় একটি কনস্যুলেট অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে হাঙ্গেরীর স্থায়ী মিশন নেই।
তিনি বলেন, এখানকার কনস্যুলেট অফিসটি হাঙ্গেরীর নয়াদিল্লী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রসারণ করবে। কারণ অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করতে পারে এবং আরও বেশি হাঙ্গেরীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে আবির্ভূত হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

Update Time : ০১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা ও বুদাপেস্ট পারমাণবিক শক্তি খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এদিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে হাঙ্গেরি এখানে কনস্যুলেট অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার সফররত হাঙ্গেরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা প্রকাশিত হয়।

বৈঠকের পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের পক্ষে কূটনীতিকদের জন্য পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে দুটি দলিলে স্বাক্ষর করেন।

সিজ্জার্তো সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা পারমাণবিক প্রকৌশলী এবং পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের (বাংলাদেশের) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছি।

হাঙ্গেরি প্রথম ১৯৮০ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে। তারা বর্তমানে রাশিয়ান রোসাটমের মাধ্যমে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে।

মোমেন বলেন, আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একই কোম্পানি কতৃক নির্মিত যারা সেখানে (হাঙ্গেরিতে) (পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) নির্মাণ করেছে। তারা (হাঙ্গেরি) এর উপর (পারমাণবিক শক্তি) ৪০ বছরের দক্ষ। তাই আমরা প্রতি বছর প্রায় ৩০ জন ছাত্রকে পারমাণবিক গবেষণার জন্য হাঙ্গেরিতে পাঠাবো।

সিজ্জার্তো আরও বলেন, আমাদের কাছে একই ধরনের চুল্লী আছে, একই ধরনের কাঠামো… তাই পারমাণবিক প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে (ঢাকা ও বুদাপেস্টের মধ্যে) সহযোগিতার এটাই সুযোগ।

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে তার সরকার ঢাকায় একটি কনস্যুলেট অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে হাঙ্গেরীর স্থায়ী মিশন নেই।
তিনি বলেন, এখানকার কনস্যুলেট অফিসটি হাঙ্গেরীর নয়াদিল্লী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রসারণ করবে। কারণ অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করতে পারে এবং আরও বেশি হাঙ্গেরীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে আবির্ভূত হচ্ছে।