মোংলা প্রতিনিধি:
মোংলার মানুষের সকলের নয়নের মণি প্রায় সকল সমস্যার সমাধানকারী যাকে মানবতার ফেরিওয়লা বলা হয় তিনি হলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, শেখ আব্দুল হাই ব্লাড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম। এবার তিনি অন্য রকম একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
অসহায় এক নবজাতক সন্তানের দায়িত্ব নিলেন।
মোংলা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলতলা আবাসন এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরী। কিশোরী বয়সে ভালোবাসার মোহে অন্ধ হয়ে সৈকত নামের একটি ছেলেকে ভালোবেসে ফেলে। পরিবারের অগোচরে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রায়ই তারা দেখা করতো। মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সৈকত গড়ে তোলে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক। এক সময় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তখন সৈকতকে বিয়ের জন্য বলে। সৈকত মেয়েটিকে কোনভাবে বিয়ে করতে রাজি হয়নি এক সময় ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। বাবা- মা তাকে বিতারিত করে। কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে মেয়েটি সৈকতের বাড়িতে যায়।
কিন্তু সেখানেও তার কোন জায়গা হয়নি অবশেষে সৈকতের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন মামলা করে মেয়েটি। মামলা হওয়ার পর সৈকতকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এ বিষয়ে লজ্জায় মেয়েটি নিজেকে আত্মগোপনে করে। কেটে যায় অনেক দিন।
মঙ্গলবার ( ৮ সেপ্টেম্বর) সকালে অসুস্থ অবস্থায় মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় মেয়েটি। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মেয়েটির কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান।
এ দূর্দিনে কেউ তার পাশে নেই। মোংলার কুমারখালি এলাকার লোক মারফত বিষয়টি জানতে পেরে সকলের নয়নের মনি মানবতার ফেরিওয়ালা কামরুজ্জামান জসিম ছুটে যান অসহায় শিমুর কাছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন।
এছাড়াও তিনি নবজাতক সন্তানের সকল দায়িত্ব নেন। তিনি নবজাতকের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।