Dhaka ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

আজ ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৬৮ Time View

আজ বুধবার মস্কোয় বৈঠকে বসছেন ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দু’দিন আগে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থা ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে মন্তব্য করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সীমান্তে এই উত্তেজনার প্রভাব নয়াদিল্লি-বেজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবধারিত ভাবে পড়বে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যার সমাধানে এবং সম্পর্কের উন্নতিতে রাজনৈতিক স্তরে গভীর ভাবে আলোচনা এবং সীমান্তে উত্তেজনা কমানো দরকার বলেও মনে করেন কূটনীতিক-রাজনীতিবিদ জয়শঙ্কর।

বৃহস্পতিবার মস্কোয় বসছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন। সেখানে আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করবেন। তার ফাঁকেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ মাধ্যম আয়োজিত আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের উত্তেজনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে আলাদা করা যায় না। পর্যবেক্ষকদের মতে, মস্কোয় নয়াদিল্লি-বেজিং আলোচনার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁদের ব্যাখ্যা, মস্কোতেও যে দু’পক্ষের আলোচনার মূল ইস্যু হতে চলেছে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তেজনা, সেটা আগেভাগেই চীনকে বুঝিয়ে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ৪ মে থেকে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং, গালওয়ান-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে চীন। তার জের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষে ভারতের ২০ জনের মৃত্যু হয়। চীনের পক্ষের কত জনের মৃত্যু হয়েছে, বেজিং তা স্পষ্ট করেনি। তবে একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, চীনের দিকে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৩৫ জনের। সেই সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর সোমবার বলেন, ‘‘সীমান্তের অবস্থা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের আগেই সে কথা আমি লিখেছিলাম।’’ প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা তাঁর বই ‘দ্য ইন্ডিয়ান ওয়ে’-তেও সেই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গালওয়ানের সংঘর্ষের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি থামেনি। বরং সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে চলেছে বেজিং। ২৯-৩০ অগস্ট রাতে এবং ৩১ সেপ্টেম্বর দিনের বেলা ফের আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে চীনা বাহিনী। গতকাল সোমবার আবার চীনা বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে বলেও ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সীমান্তের এই উত্তেজনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সীমান্তে যদি শান্তি ও স্থিতাবস্থা না থাকে, তা হলে বাকি সম্পর্কও তার উপর ভিত্তি করেই এগোয়। কারণ, সম্পর্কের ভিত্তিই হল সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা।’’

ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে এই চীনকে কি এই বার্তাই দেওয়া হবে? সরাসরি এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর অবশ্য কিছুটা রক্ষণাত্মক। বলেন, ‘‘তাঁকে (চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে) ঠিক কী বলব, সেটা অবশ্যই এখানে আলোচনা করব না।’’ তবে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানো এবং সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিই যে তাঁর প্রাধান্য হবে, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ইতিহাসের হাত ধরে নয়াদিল্লি বেজিং-এর এই সমস্যা এসেছে বলে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ঐতিহাসিক সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে থাকবে।

সূত্র: আনন্দবাজার

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আজ ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

Update Time : ০২:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আজ বুধবার মস্কোয় বৈঠকে বসছেন ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দু’দিন আগে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থা ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে মন্তব্য করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সীমান্তে এই উত্তেজনার প্রভাব নয়াদিল্লি-বেজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবধারিত ভাবে পড়বে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যার সমাধানে এবং সম্পর্কের উন্নতিতে রাজনৈতিক স্তরে গভীর ভাবে আলোচনা এবং সীমান্তে উত্তেজনা কমানো দরকার বলেও মনে করেন কূটনীতিক-রাজনীতিবিদ জয়শঙ্কর।

বৃহস্পতিবার মস্কোয় বসছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন। সেখানে আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করবেন। তার ফাঁকেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ মাধ্যম আয়োজিত আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের উত্তেজনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে আলাদা করা যায় না। পর্যবেক্ষকদের মতে, মস্কোয় নয়াদিল্লি-বেজিং আলোচনার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁদের ব্যাখ্যা, মস্কোতেও যে দু’পক্ষের আলোচনার মূল ইস্যু হতে চলেছে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তেজনা, সেটা আগেভাগেই চীনকে বুঝিয়ে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ৪ মে থেকে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং, গালওয়ান-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে চীন। তার জের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষে ভারতের ২০ জনের মৃত্যু হয়। চীনের পক্ষের কত জনের মৃত্যু হয়েছে, বেজিং তা স্পষ্ট করেনি। তবে একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, চীনের দিকে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৩৫ জনের। সেই সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর সোমবার বলেন, ‘‘সীমান্তের অবস্থা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের আগেই সে কথা আমি লিখেছিলাম।’’ প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা তাঁর বই ‘দ্য ইন্ডিয়ান ওয়ে’-তেও সেই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গালওয়ানের সংঘর্ষের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি থামেনি। বরং সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে চলেছে বেজিং। ২৯-৩০ অগস্ট রাতে এবং ৩১ সেপ্টেম্বর দিনের বেলা ফের আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে চীনা বাহিনী। গতকাল সোমবার আবার চীনা বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে বলেও ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সীমান্তের এই উত্তেজনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সীমান্তে যদি শান্তি ও স্থিতাবস্থা না থাকে, তা হলে বাকি সম্পর্কও তার উপর ভিত্তি করেই এগোয়। কারণ, সম্পর্কের ভিত্তিই হল সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা।’’

ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে এই চীনকে কি এই বার্তাই দেওয়া হবে? সরাসরি এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর অবশ্য কিছুটা রক্ষণাত্মক। বলেন, ‘‘তাঁকে (চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে) ঠিক কী বলব, সেটা অবশ্যই এখানে আলোচনা করব না।’’ তবে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানো এবং সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিই যে তাঁর প্রাধান্য হবে, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ইতিহাসের হাত ধরে নয়াদিল্লি বেজিং-এর এই সমস্যা এসেছে বলে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ঐতিহাসিক সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে থাকবে।

সূত্র: আনন্দবাজার