Dhaka ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ ইন্টারপোলে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন বিচার-সংস্কার-গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে এনসিপি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন হুনানের গভর্নর

কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের আজ জন্মদিন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৭ Time View

সাঈদ আনোয়ার। নামটা শুনলেই যেন চোখটা ঝলমল করে উঠে। তৎকালীন সময়ে ক্রিকেটীয় বিনদনের অন্যতম খোরাগ ছিলেন। তিনি ক্রিজে থাকা মানেই চার ছক্কার উৎসব দেখতে দর্শকদের নরেচরে বসা। আজ অবশ্য একটু বেশিই মনে পড়ছে পাকিস্তানের সাবেক এই ওপেনারকে। আজ এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের ৫১তম জন্মদিন।”সুপ্রভাত উত্তরবঙ্গ” পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা । ১৯৯৭ সালের এই দিনেই চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১৪৬ বলে ১৯৪ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

সাঈদের রেকর্ড গড়া সেই ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৩৫ রানে। ওই সময় এটাই ছিল ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সাঈদ আনোয়ারের সেই রেকর্ড প্রায় একযুগ টিকেছিল। ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করার পথে ২২ চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তার রেকর্ডটি ২০১০ সালে ভাঙেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। অবশ্য শচীনও এখন আর এই রেকর্ডের মালিক নন। বীরেন্দর শেওয়াগ হয়ে সেটি এখন রোহিত শর্মার দখলে।

১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় সাঈদ আনোয়ারের। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন এক সময়ের অন্যতম বিশ্বসেরা এ ব্যাটসম্যান। ক্রিকেটটা পেয়েছিলেন বাবার সূত্রে। তার বাবাও ছিলেন ক্রিকেটার, খেলতেন ক্লাব পর্যায়ে। আর সাঈদ আনোয়ার নিজেও ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।

বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো সাঈদ আনোয়ারে নাম জানেন না। হয়তো তার খেলাও দেখেননি। কিন্তু যারা এই পাক তারকার খেলা দেখেছেন তারা হয়তো এখনও মনে রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। যারা তার সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি।

আগামী ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার আগে আইসিসি আগের আসরগুলোতে ক্রিকেটারদের করা পারফরম্যান্স সবাইকে মনে করিয়ে দেয়ার এক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করছে। সেখানেই সাইদ আনোয়ারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যারিয়ার প্রকাশ করে আইসিসি।

একসময়কার ক্রিকেট মাঠে বাইশ গজের এই শাসক এখন আর সম্পৃক্ত নয় ক্রিকেটের সঙ্গে। তিনি আমূল বদলে গেছেন। একটা ঘটনা তথা মৃত্যু বদলে দিয়েছিল পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের জীবন। ওই ঘটনার জের ধরে তিনি এখন ক্রিকেট মাঠে নয়, বরং মসজিদে মসজিদে, লোকালয়ে ছুটে চলেছেন ইসলামের সুমহান বাণী প্রচারে। পবিত্র আল কোরআন পাঠ করে এবং ব্যাখ্যা করে জীবন কাটছে এখন সাঈদ আনোয়ারের। ঘনিষ্ঠভাবে তিনি জড়িত তাবলিগ জামাতের সাথে। তাবলিগি কাজে সাঈদ আনোয়ার বাংলাদেশেও এসেছেন বেশ কয়েকবার। পাকিস্তানি এই গ্রেট ওপেনারের জীবনকে বদলে দেয়া ওই ঘটনাটি ছিল মেয়ে বিসমা’র মৃত্যু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের আজ জন্মদিন

Update Time : ১০:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

সাঈদ আনোয়ার। নামটা শুনলেই যেন চোখটা ঝলমল করে উঠে। তৎকালীন সময়ে ক্রিকেটীয় বিনদনের অন্যতম খোরাগ ছিলেন। তিনি ক্রিজে থাকা মানেই চার ছক্কার উৎসব দেখতে দর্শকদের নরেচরে বসা। আজ অবশ্য একটু বেশিই মনে পড়ছে পাকিস্তানের সাবেক এই ওপেনারকে। আজ এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের ৫১তম জন্মদিন।”সুপ্রভাত উত্তরবঙ্গ” পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা । ১৯৯৭ সালের এই দিনেই চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১৪৬ বলে ১৯৪ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

সাঈদের রেকর্ড গড়া সেই ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৩৫ রানে। ওই সময় এটাই ছিল ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সাঈদ আনোয়ারের সেই রেকর্ড প্রায় একযুগ টিকেছিল। ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করার পথে ২২ চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তার রেকর্ডটি ২০১০ সালে ভাঙেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। অবশ্য শচীনও এখন আর এই রেকর্ডের মালিক নন। বীরেন্দর শেওয়াগ হয়ে সেটি এখন রোহিত শর্মার দখলে।

১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় সাঈদ আনোয়ারের। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন এক সময়ের অন্যতম বিশ্বসেরা এ ব্যাটসম্যান। ক্রিকেটটা পেয়েছিলেন বাবার সূত্রে। তার বাবাও ছিলেন ক্রিকেটার, খেলতেন ক্লাব পর্যায়ে। আর সাঈদ আনোয়ার নিজেও ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।

বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো সাঈদ আনোয়ারে নাম জানেন না। হয়তো তার খেলাও দেখেননি। কিন্তু যারা এই পাক তারকার খেলা দেখেছেন তারা হয়তো এখনও মনে রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। যারা তার সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি।

আগামী ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার আগে আইসিসি আগের আসরগুলোতে ক্রিকেটারদের করা পারফরম্যান্স সবাইকে মনে করিয়ে দেয়ার এক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করছে। সেখানেই সাইদ আনোয়ারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যারিয়ার প্রকাশ করে আইসিসি।

একসময়কার ক্রিকেট মাঠে বাইশ গজের এই শাসক এখন আর সম্পৃক্ত নয় ক্রিকেটের সঙ্গে। তিনি আমূল বদলে গেছেন। একটা ঘটনা তথা মৃত্যু বদলে দিয়েছিল পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের জীবন। ওই ঘটনার জের ধরে তিনি এখন ক্রিকেট মাঠে নয়, বরং মসজিদে মসজিদে, লোকালয়ে ছুটে চলেছেন ইসলামের সুমহান বাণী প্রচারে। পবিত্র আল কোরআন পাঠ করে এবং ব্যাখ্যা করে জীবন কাটছে এখন সাঈদ আনোয়ারের। ঘনিষ্ঠভাবে তিনি জড়িত তাবলিগ জামাতের সাথে। তাবলিগি কাজে সাঈদ আনোয়ার বাংলাদেশেও এসেছেন বেশ কয়েকবার। পাকিস্তানি এই গ্রেট ওপেনারের জীবনকে বদলে দেয়া ওই ঘটনাটি ছিল মেয়ে বিসমা’র মৃত্যু।