মোংলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র করমজলের কুমির পিলপিলের ৪৪টি ডিম থেকে
ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল ১১টি ডিম যার মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার মাত্র চারটি বাচ্চা জন্ম নেয়।
গত ১২ জনু প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ের বাসায় ৪৪টি ডিম দেয় কুমির পিলপিল। এরপর কুমিরটির নিজ বাসায় ২১টি রেখে বাকীগুলোর মধ্যে ১২টি কেন্দ্রের নতুন ইনকিউবেটর আর ১১টি পুরাতন ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
৪৪ টি ডিম থেকে মাত্র ৪ টি বাচ্চা জন্ম নেয়ায় হতাশ প্রকাশ করেছেন বনকর্মীরা।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: আজাদ কবির জানিয়েছেন এ বছর অতি বৃষ্টি, অতিরিক্ত জোয়ার এবং ইনিকিউবেটরের ক্রুটির কারণে আশানুরুপ বাচ্চা ফোটেনি।
তিনি আরো জানিয়েছেন ২০২০ সালে পিলপিল ৪৪টি আর জুলিয়েট ৫২টি ডিম দেয়। এরমধ্যে পিলপিলের ৪টি বাচ্চা হলেও জুলিয়েটের ডিম থেকে কোন বাচ্চা আসেনি। গত ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালে পিলপিল ও জুলিয়েটের ডিম একটিও বাচ্চা ফুটেনি। তবে এ কারণে তিনি যথা সময়ে সঠিক তাপমাত্রা না পাওয়া ও কেন্দ্রের ইনকিউবেটরের ক্রুটিকেই দায়ী করছেন।