নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঁদপুরে ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সদ্য নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল। এটি সাইক্লোন শেল্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। দুই মাস আগে ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে এ ঘটনা ঘটে।

দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গত দু’সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় দুই শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো অনন্ত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পারভেজ গাজী রনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি আগেও কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এখানে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন করে দেন। এ ভবনটির জায়গা নির্বাচনের সময় নদী এখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ছিলো। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আমরা খুব দ্রুততার সাথে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করি। দুই মাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করি। কিন্তু ভাঙনের তীব্রতায় সেটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সফিউল্লাহ সরকার জানান, নবনির্মিত ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে গেল।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী জানান, গত ১০ দিনের ভাঙনে ইতোমধ্যে ইউনিয়নের রাজারচর, খাসকান্দি, জাহাজমারাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙন শুরু হওয়ার আগেই সাইক্লোন সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ মানু্ষের বাড়িঘর রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে