Dhaka ০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১০ Time View

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের হামাস গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে। এজন্য কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ফলে গাজা উপতক্যার ওপর বিমান হামলাসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে। এর বিপরীতে গাজা থেকে যে আগুনে বেলুন দিয়ে হামাস হামলা চালাতো সেগুলোও বন্ধ করা হবে।

হামাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে যে, সর্বশেষ সংঘাতের রাশ টেনে ধরা হবে এবং ইসরাইল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে।”

বিবৃতিতে বলা হয়- যুদ্ধবিরতির ফলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে যা গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে। হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ করবে। এর বিনিময়ে ইসরাইল জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে এবং মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।

গত কয়েকদিন ধরে কাতারের দূত গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য লাগাতার বৈঠক করে আসছিলেন।

অন্যদিকে, ইসরাইল বলেছে, শান্তি এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তেল আিবব। তবে হামাস যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরাইলও অনরূপ ব্যবস্থা নেবে।

গত ৬ আগস্ট থেকে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অন্যদিকে হামাসও নিয়মিতভাবে রকেট এবং আগুনে বেলুন ছুঁড়ছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। ২০১৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি

Update Time : ০১:১১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের হামাস গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে। এজন্য কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ফলে গাজা উপতক্যার ওপর বিমান হামলাসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে। এর বিপরীতে গাজা থেকে যে আগুনে বেলুন দিয়ে হামাস হামলা চালাতো সেগুলোও বন্ধ করা হবে।

হামাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে যে, সর্বশেষ সংঘাতের রাশ টেনে ধরা হবে এবং ইসরাইল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে।”

বিবৃতিতে বলা হয়- যুদ্ধবিরতির ফলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে যা গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে। হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ করবে। এর বিনিময়ে ইসরাইল জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে এবং মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।

গত কয়েকদিন ধরে কাতারের দূত গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য লাগাতার বৈঠক করে আসছিলেন।

অন্যদিকে, ইসরাইল বলেছে, শান্তি এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তেল আিবব। তবে হামাস যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরাইলও অনরূপ ব্যবস্থা নেবে।

গত ৬ আগস্ট থেকে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অন্যদিকে হামাসও নিয়মিতভাবে রকেট এবং আগুনে বেলুন ছুঁড়ছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। ২০১৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি।