Dhaka ০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • ১৩৬ Time View

ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমানো হলে গ্রামের দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে, ব্যবসা খরচ কমে যাবে, গ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে- এই লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি কম সুদে তহবিল জোগান দেবে ব্যাংকটি। একই সঙ্গে বিভিন্ন উৎস থেকে কম সুদে তহবিলের জোগান বাড়ানো হবে। আর এই প্রক্রিয়ার কমে যাবে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার।

সুদের হার কমানোর জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনার প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে। এ তহবিল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। আর ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেবে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করবে ৯ শতাংশ সুদে।

ইতোমধ্যে এ তহবিলের আওতায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ঋণ বিতরণ করছে বেশ উৎসাহ নিয়ে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তহবিলের আকার আরও বাড়াতে আগ্রহী। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ না দিয়ে সরাসরি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এমআরএর সরাসরি চলতি হিসাবে লেনদেন চালু করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সরাসরি চলতি হিসাবে লেনদেন করতে পারে না। এ প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোটা অংকের তহবিলের জোগান দেয়া সম্ভব হলে সুদের হার ৯ শতাংশের মধ্যেই নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে ক্ষুদ্রঋণে তহবিলের জোগান বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এনজিওদের একটি লিংকেজ ঋণ প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। এর আওতায় ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋণ দিত এনজিওদের। তবে কম সুদে মাঠপর্যায়ে বিতরণের শর্ত ছিল। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও তহবিলের জোগান দেয়া হতো। কিন্তু প্রকল্পটি এগোয়নি।

এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে সরাসরি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে তহবিলের জোগান দিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমছে

Update Time : ০৯:১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমানো হলে গ্রামের দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে, ব্যবসা খরচ কমে যাবে, গ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে- এই লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি কম সুদে তহবিল জোগান দেবে ব্যাংকটি। একই সঙ্গে বিভিন্ন উৎস থেকে কম সুদে তহবিলের জোগান বাড়ানো হবে। আর এই প্রক্রিয়ার কমে যাবে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার।

সুদের হার কমানোর জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনার প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে। এ তহবিল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। আর ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেবে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করবে ৯ শতাংশ সুদে।

ইতোমধ্যে এ তহবিলের আওতায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ঋণ বিতরণ করছে বেশ উৎসাহ নিয়ে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তহবিলের আকার আরও বাড়াতে আগ্রহী। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ না দিয়ে সরাসরি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এমআরএর সরাসরি চলতি হিসাবে লেনদেন চালু করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সরাসরি চলতি হিসাবে লেনদেন করতে পারে না। এ প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোটা অংকের তহবিলের জোগান দেয়া সম্ভব হলে সুদের হার ৯ শতাংশের মধ্যেই নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে ক্ষুদ্রঋণে তহবিলের জোগান বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এনজিওদের একটি লিংকেজ ঋণ প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। এর আওতায় ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋণ দিত এনজিওদের। তবে কম সুদে মাঠপর্যায়ে বিতরণের শর্ত ছিল। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও তহবিলের জোগান দেয়া হতো। কিন্তু প্রকল্পটি এগোয়নি।

এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে সরাসরি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে তহবিলের জোগান দিতে।