গ্যালারি থেকে ‘আলু’ বলে ডাকায় খেপে গিয়ে ব্যাট নিয়ে দর্শকের দিকে তেড়ে যাননি ইনজামাম। ভারত দলের তখনকার অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে অপমান করাতেই নাকি এমন কাণ্ড করেছিলেন তিনি।
২৩ বছর আগের এক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে এমন দাবি করেছের সাবেক পাক পেসার ওয়াকার ইউনিস।
সম্প্রতি ‘দ্য গ্রেটেস্ট রাইভালরি’-পডকাস্টে এসে সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন ওয়াকার ইউনিস।
তিনি বলেন,হ্যাঁ, এটা সত্যি যে সেদিন ইনজামামকে আলু বলে ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু আরও একটি ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। যা অনেকেরই জানা নেই। সেদিন দর্শকদের মধ্যে কেউ কেউ আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে বাজে কথা বলছিল। সেসব অশ্রাব্য মন্তব্য ইনজির কানে আসে। মুহূর্তেই চটে চায় সে।
ওয়াকার বলেন, ভারত আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মাঠের বাইরে দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব দারুণ সম্পর্ক ছিল। সবাই সবাইকে শ্রদ্ধা করত। ওইদিন কেউ একজন আজহারের স্ত্রীকে নিয়ে খুব বাজে কিছু বলেছিল, যা মেনে নিতে পারেনি ইনজামাম। সে এতোটাই ক্ষেপে গিয়েছিল যে, অধিনায়ক থেকে সময় চেয়ে নিয়ে ফাইন লেগে গিয়েছিল। তারপর দ্বাদশ খেলোয়াড় থেকে একটা ব্যাট চেয়ে নিয়ে সোজা সিঁড়ি বেয়ে উঠে গিয়েছিল এবং মারতে চেয়েছিল ওই দর্শককে।
ঘটনাটি ১৯৯৭ সালে সাহারা কাপের। কানাডায় অনুষ্ঠিত সে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১৬ রান তাড়া করছিল ভারত। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ফিল্ডিং দেয়া অবস্থায় হঠাৎ গ্যালারিতে ছুটে যান ইনজামাম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিভ কুমার থিন্ডকে ব্যাট দিয়ে মারার চেষ্টা করেন।
সেদিন সেই ভারতীয় নিজের মেগাফোন দিয়ে ইনজামামকে কিছুক্ষণ পর পর ‘আলু’ ও ‘বুদ্ধ’ বলে কটাক্ষ করছিল।
ওই ঘটনার জেরে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন ইনজামাম। শুধু তাই নয়, ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানে ওই ভারতীয়র সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করেন আজহারউদ্দিন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস