স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪ হাজার ১০০ ইউপির নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের মার্চ থেকে শুরু হবে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। গতবারের মতো এবারও কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ইউপির ভোট। 

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে তফসিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এর আগে আসছে অক্টোবরে প্রায় দুই শতাধিক ইউপিতে উপনির্বাচন হবে।

গতবারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। যেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। সেখানে ইউপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা সংবিধানবিরোধীও।

জানা গেছে, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ইউপি নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। করোনার কারণে স্থগিত এবং অপসারণ, পদত্যাগ, মৃত্যু ও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে নির্বাচন উপযোগী প্রায় দুই শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অক্টোবর থেকেই শুরু হবে। করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব নির্বাচন হবে। এসব ইউপিতে আগামী মাসে তফশিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কয়েক ধাপে ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। এবারও একইভাবে ইউপির ভোট সম্পন্ন করা হবে। ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে ৪ হাজার ১০০ ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে