Dhaka ১০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে টানা বৃষ্টি ও বন্যায় ৩২ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • 28

পাকিস্তানের চার প্রদেশে টানা ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় গত দুই দিনে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উদ্ধার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। খবর ডনের।

খাইবার পাখতুনখোয়া

খাইবার পাখতুনখোয়ায় শুক্রবার (২৭ জুন) ১৭ জনের মৃত্যুর পর শনিবার (২৮ জুন) আরও দুইজন মারা যান। চারসাদ্দায় এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যান এবং শাঙ্গলায় ভূমিধসে জান ফেরোজা নামের এক নারী নিহত হন। পিডিএমএ জানিয়েছে, বৃষ্টিতে ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৬টি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।

পাঞ্জাব

পাঞ্জাবে ছাদ ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন শিশু। লাহোরে ছাদ ধসে দুই শিশু নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। আটক, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, আলিপুর, শেখুপুরা, ওকারা, হাফিজাবাদসহ বিভিন্ন জেলায় ছাদ ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা সদস্য নিহত

বেলুচিস্তান

বেলুচিস্তানের ঝোব জেলায় বৃষ্টিজনিত আকস্মিক বন্যায় একই পরিবারের চারজন (তিন নারী ও এক মেয়ে শিশু) ভেসে মারা গেছেন। তারা কোয়েটা থেকে মুলতান যাওয়ার পথে সালিয়াজা এলাকায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা হয়। লেভিস ও উদ্ধারকর্মীরা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করেন।

সিন্ধু

করাচিতে শনিবার পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। লিয়ারিতে ছাদ ধসে দুইজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কতা

শনিবারও দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত ছিল এবং আগামী কয়েকদিন একই আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণ (গ্লোফ) ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। বিশেষ করে কেপির দির, চিত্রাল, সোয়াত, মানসেহরা, আবোটাবাদসহ উত্তরাঞ্চলে গ্লোফ এবং আকস্মিক বন্যায় সড়ক ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পাঞ্জাব, আজাদ কাশ্মীর, গিলগিট-বালটিস্তান, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন জেলায়ও ব্যাপক বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। এনডিএমএ সকল প্রাদেশিক ও জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পাকিস্তানে টানা বৃষ্টি ও বন্যায় ৩২ জনের মৃত্যু

Update Time : ০৫:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের চার প্রদেশে টানা ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় গত দুই দিনে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উদ্ধার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। খবর ডনের।

খাইবার পাখতুনখোয়া

খাইবার পাখতুনখোয়ায় শুক্রবার (২৭ জুন) ১৭ জনের মৃত্যুর পর শনিবার (২৮ জুন) আরও দুইজন মারা যান। চারসাদ্দায় এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যান এবং শাঙ্গলায় ভূমিধসে জান ফেরোজা নামের এক নারী নিহত হন। পিডিএমএ জানিয়েছে, বৃষ্টিতে ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৬টি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।

পাঞ্জাব

পাঞ্জাবে ছাদ ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন শিশু। লাহোরে ছাদ ধসে দুই শিশু নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। আটক, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, আলিপুর, শেখুপুরা, ওকারা, হাফিজাবাদসহ বিভিন্ন জেলায় ছাদ ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা সদস্য নিহত

বেলুচিস্তান

বেলুচিস্তানের ঝোব জেলায় বৃষ্টিজনিত আকস্মিক বন্যায় একই পরিবারের চারজন (তিন নারী ও এক মেয়ে শিশু) ভেসে মারা গেছেন। তারা কোয়েটা থেকে মুলতান যাওয়ার পথে সালিয়াজা এলাকায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা হয়। লেভিস ও উদ্ধারকর্মীরা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করেন।

সিন্ধু

করাচিতে শনিবার পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। লিয়ারিতে ছাদ ধসে দুইজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কতা

শনিবারও দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত ছিল এবং আগামী কয়েকদিন একই আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণ (গ্লোফ) ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। বিশেষ করে কেপির দির, চিত্রাল, সোয়াত, মানসেহরা, আবোটাবাদসহ উত্তরাঞ্চলে গ্লোফ এবং আকস্মিক বন্যায় সড়ক ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পাঞ্জাব, আজাদ কাশ্মীর, গিলগিট-বালটিস্তান, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন জেলায়ও ব্যাপক বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। এনডিএমএ সকল প্রাদেশিক ও জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।