Dhaka ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • 34

সিরিয়ায় একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পশ্চিম হাসাকা প্রদেশের একটি এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

সোমবার (২৩ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসরুক অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। হামলার ধরন বা এতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। 

তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং এলাকাজুড়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় ব্যাপক নজরদারি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে ড্রোন ও সামরিক হেলিকপ্টারের গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পটভূমিতে একটি বড় বার্তা বহন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এই হামলাটি সেই প্রেক্ষাপটেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর অতীতে একাধিকবার রকেট ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর এসব হামলার দায় দেওয়া হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

এদিকে, এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক মহল। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের হামলা সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উস্কানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

Update Time : ১২:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সিরিয়ায় একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পশ্চিম হাসাকা প্রদেশের একটি এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

সোমবার (২৩ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসরুক অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। হামলার ধরন বা এতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। 

তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং এলাকাজুড়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় ব্যাপক নজরদারি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে ড্রোন ও সামরিক হেলিকপ্টারের গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পটভূমিতে একটি বড় বার্তা বহন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এই হামলাটি সেই প্রেক্ষাপটেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর অতীতে একাধিকবার রকেট ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর এসব হামলার দায় দেওয়া হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

এদিকে, এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক মহল। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের হামলা সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উস্কানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।