Dhaka ০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জবি শিক্ষার্থী বললেন একবার কোরআন পড়ুন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • 37

এ আর ধ্রুব নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম আব্দুর রহমান ধ্রুব।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বিষয়টি জানিয়েছেন।

আব্দুর রহমান ধ্রুব বলেন, আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম। যদিও হিন্দু গোত্রে আমার জন্ম হয়েছে কিন্তু আমি স্কুলে অধ্যায়ণকাল থেকেই হিন্দু ধর্মের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়েও আমার অনেক মুসলমান বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অধিক ওঠাবসা এবং চলাফেরা করেছি। তারপর ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অব্যাহত যাতায়াত চলতে থাকে বিধায় হিন্দু ধর্মের সঙ্গে আমার  দুরত্ব তৈরি হয়। হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন আমার কাছে ভাল লাগে না। আমি ইসলামী বই-পুস্তক ও হিন্দু ধর্মালম্বী পুস্তক পড়ে অনেক ভেবেচিন্তে দেখেছি যে, ইসলাম ধর্ম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ ইহকাল ও পরকাল ধর্ম ইসলাম ধর্মের মধ্যে পার্থিব শান্তি ও কল্যাণ রয়েছে। 

ধ্রুব নিজের দীর্ঘ আত্মঅনুসন্ধান ও মানসিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সংবিধানসম্মত অধিকার বলেও তিনি জানান।

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সত্য খুঁজছেন, আমি শুধু বলব- একবার কোরআন পড়ুন খোলা মন নিয়ে। সত্য চাইলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পথ দেখাবেন। আমি সেই পথেই শান্তি পেয়েছি। 

ধ্রুব জানান, তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে। বহুদিন ধরে তিনি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এবং জীবনের নানা সংকটে পড়েছিলেন। সেই সময়গুলোতে তিনি একাধিকবার জীবনের আশা হারিয়ে ফেললেও প্রতিবারই এক অদৃশ্য শক্তি তাকে রক্ষা করেছে বলে জানান তিনি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, যার উত্তর তিনি খুঁজে পান ইসলাম ধর্মে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জবি শিক্ষার্থী বললেন একবার কোরআন পড়ুন

Update Time : ০৩:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

এ আর ধ্রুব নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম আব্দুর রহমান ধ্রুব।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বিষয়টি জানিয়েছেন।

আব্দুর রহমান ধ্রুব বলেন, আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম। যদিও হিন্দু গোত্রে আমার জন্ম হয়েছে কিন্তু আমি স্কুলে অধ্যায়ণকাল থেকেই হিন্দু ধর্মের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়েও আমার অনেক মুসলমান বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অধিক ওঠাবসা এবং চলাফেরা করেছি। তারপর ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অব্যাহত যাতায়াত চলতে থাকে বিধায় হিন্দু ধর্মের সঙ্গে আমার  দুরত্ব তৈরি হয়। হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন আমার কাছে ভাল লাগে না। আমি ইসলামী বই-পুস্তক ও হিন্দু ধর্মালম্বী পুস্তক পড়ে অনেক ভেবেচিন্তে দেখেছি যে, ইসলাম ধর্ম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ ইহকাল ও পরকাল ধর্ম ইসলাম ধর্মের মধ্যে পার্থিব শান্তি ও কল্যাণ রয়েছে। 

ধ্রুব নিজের দীর্ঘ আত্মঅনুসন্ধান ও মানসিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সংবিধানসম্মত অধিকার বলেও তিনি জানান।

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সত্য খুঁজছেন, আমি শুধু বলব- একবার কোরআন পড়ুন খোলা মন নিয়ে। সত্য চাইলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পথ দেখাবেন। আমি সেই পথেই শান্তি পেয়েছি। 

ধ্রুব জানান, তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে। বহুদিন ধরে তিনি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এবং জীবনের নানা সংকটে পড়েছিলেন। সেই সময়গুলোতে তিনি একাধিকবার জীবনের আশা হারিয়ে ফেললেও প্রতিবারই এক অদৃশ্য শক্তি তাকে রক্ষা করেছে বলে জানান তিনি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, যার উত্তর তিনি খুঁজে পান ইসলাম ধর্মে।