দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। বিশ্ববাজারে দরপতন হওয়ায় এ দাম কমেছে। ভরি প্রতি প্রায় দেড় হাজার টাকা কমিয়ে নতুন নতুন দর নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার।
আজ শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে কী দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করে বাজুস। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া-কমার ওপর নির্ভর করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত বিশ্ববাজারের সাতদিনের দামের গড় ভিত্তিতে কী পরিমাণ দাম বাড়বে না কমবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগরওয়ালার জানান, গত কয়েক দিনে বিশ্ব বাজারে প্রায় ২৫ ডলারের (প্রায় ২১০০ টাকা) মতো দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য সব সময় স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। এমন অবস্থায় বিশ্ববাজারে দাম কমার কারণে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।
নতুন দামে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ২৫৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৩৬১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫০ হাজার ৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম পূর্বের নির্ধারিত ৯৩৩ টাকাই বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে দেশের বাজারে চারবার দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে স্বর্ণের দাম। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে উঠেছিল। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। যা ছিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল। তখন প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ৬০ হাজার ৬৫৩ টাকা।