Dhaka ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে গুনতে হবে ৫ শতাংশ কর আরব আমিরাতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ নগদ থেকে জমা ও উত্তোলন ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ যশোরের সাবেক মেয়র রেন্টু ও তার স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ১০ এসপিকে অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্বসহ ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি নগর ভবনের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের জাতীয় ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই: আলী রীয়াজ আনচেলত্তির ব্রাজিল স্কোয়াডের তথ্য ফাঁস, প্রথম সারিতে নেইমারসহ ৮ তারকা

উপদেষ্টার কক্ষের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান, আশ্বাসে স্থান ত্যাগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • ৩০ Time View

সোমবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতৃত্বে একটি মিছিল নতুন নির্মিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১১ নম্বর ভবনের দিকে আসতে থাকেন। এসময় তারা সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা সঙ্গে ছিলেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্লোগান দিতে দিতে ভবনের তৃতীয় তলায় অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষের সামনে এসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়েন। এসময় অর্থ উপদেষ্টা কক্ষে অবস্থান করছিলেন।

কর্মচারীরা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এ স্থান থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে সারা রাত বসে থাকবেন। এসময় তারা স্লোগান দেন আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

এরপর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীরসহ অন্য নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন। পরে নিচে ৭ নম্বর ভবনের সামনে তিনি বক্তব্য দেন।

বাদিউল কবীর বলেন, সচিবালয়ে রেশন ও ভাতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। সমাবেশ, আবেদন, নিবেদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডকুমেন্টস শো, ডকুমেন্টস সাপোটিং পেপারসহ সবকিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেটা সেই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। উপদেষ্টা পর্যন্ত সে আলোচনা পৌঁছেনি।

তিনি বলেন, আজ আপনাদের সহযোগিতায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, সচিব আমাকে এ বিষয়ে জানাননি। আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি। আমাকে একটু সময় দিন ১০ থেকে ১২ দিন। আমি এ বিষয়টা কেবিনেটে তুলবো। আজই অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে বিষয়টা পর্যালোচনা করবো এবং কেবিনেটে উঠাবো। আপনাদের জন্য যদি কোনো সুখবর আনতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকবে না।

বাদিউল কবির বলেন, আমি তাকে বলেছি খাদ্য উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে সুপারিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে। অথচ সচিবসহ তার পুরো টিম কর্মচারীদের তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। উপদেষ্টা আমাদের কাছে ১০-১২ দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা সে সময়টা দেবো। ঠিক ১০ দিন পর আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা কঠোরভাবে এখানে নামবো। ১০ দিন পর আপনাদের সাথে পরামর্শ করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে গুনতে হবে ৫ শতাংশ কর

উপদেষ্টার কক্ষের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান, আশ্বাসে স্থান ত্যাগ

Update Time : ১১:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সোমবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতৃত্বে একটি মিছিল নতুন নির্মিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১১ নম্বর ভবনের দিকে আসতে থাকেন। এসময় তারা সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা সঙ্গে ছিলেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্লোগান দিতে দিতে ভবনের তৃতীয় তলায় অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষের সামনে এসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়েন। এসময় অর্থ উপদেষ্টা কক্ষে অবস্থান করছিলেন।

কর্মচারীরা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এ স্থান থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে সারা রাত বসে থাকবেন। এসময় তারা স্লোগান দেন আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

এরপর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীরসহ অন্য নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন। পরে নিচে ৭ নম্বর ভবনের সামনে তিনি বক্তব্য দেন।

বাদিউল কবীর বলেন, সচিবালয়ে রেশন ও ভাতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। সমাবেশ, আবেদন, নিবেদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডকুমেন্টস শো, ডকুমেন্টস সাপোটিং পেপারসহ সবকিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেটা সেই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। উপদেষ্টা পর্যন্ত সে আলোচনা পৌঁছেনি।

তিনি বলেন, আজ আপনাদের সহযোগিতায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, সচিব আমাকে এ বিষয়ে জানাননি। আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি। আমাকে একটু সময় দিন ১০ থেকে ১২ দিন। আমি এ বিষয়টা কেবিনেটে তুলবো। আজই অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে বিষয়টা পর্যালোচনা করবো এবং কেবিনেটে উঠাবো। আপনাদের জন্য যদি কোনো সুখবর আনতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকবে না।

বাদিউল কবির বলেন, আমি তাকে বলেছি খাদ্য উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে সুপারিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে। অথচ সচিবসহ তার পুরো টিম কর্মচারীদের তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। উপদেষ্টা আমাদের কাছে ১০-১২ দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা সে সময়টা দেবো। ঠিক ১০ দিন পর আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা কঠোরভাবে এখানে নামবো। ১০ দিন পর আপনাদের সাথে পরামর্শ করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।