প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ব্রাজিলের সুপারস্টার। কিন্তু উয়েফার স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে শাস্তির মুখে নেইমার দা জুনিয়র। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষের নেইমারের থাকাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার রাতে লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লাইপজিসকে ৩-০ হারানোর পরে পিএসজি তারকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার মার্সেল হালস্টেনবার্গের সঙ্গে জার্সি বিনিময় করেন। এই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেইমারকে নিষিদ্ধ করতে পারে উয়েফা। যদি তাকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে ফাইনাল খেলতে পারবেন না নেইমার।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ফুটবলের নিয়মে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। এখন ম্যাচের আগে বা পরে কেউ কারও সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। গোলের পরে উৎসবের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাশাপাশি বসা যাবে না। ফুটবলার ও ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারা ছাড়া সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। এমনকি, ম্যাচ শেষে ফুটবলাররা একে অপরের সঙ্গে জার্সি বিনিময়ও করতে পারবেন না। কারণ, এতে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

উয়েফার নতুন নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ম্যাচের পরে জার্সি বদল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে। এখানেই শেষ নয়। ১২ দিনের আইসোলেশনেও থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে। এসব নিয়মনীতি  উপেক্ষা করেই নেইমার জার্সি বিনিময় করেছেন হালস্টেনবার্গের সঙ্গে।

এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলীয় তারকাকে যদি আইসোলেশনে পাঠানো হয় কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যদি নেইমার দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ফাইনাল ম্যাচে তার মাঠে নামা হচ্ছে না। এই কারণে লিসবনে রোববারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে  উদ্বেগে আছে পিএসজি শিবির। কারণ লাইপজিসের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিল ব্রাজিলীয় এই তারকা। তাকে ঘিরেই প্রথম বার ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্যারিসের ক্লাবটি।

যদিও এই উদ্বেগের মধ্যেই নেইমারকে নিয়ে ফাইনাল ম্যাচের প্রস্তুতিতে বুধবার মাঠে নেমে পড়েছেন পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেল। তিনি বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালই হবে আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা।’’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে