Dhaka ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো মেটা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ১৭ Time View

ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট কিংবা প্রতারকদের বিভিন্ন প্রোলেভনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানোর ঘটনার প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। আর এসব অপরাধীদের থামাতে ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করেছে মেটা। সংস্থার অভিযোগ, এসব পেজ এবং অ্যাকাউন্টগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতারকদের টার্গেটে সবচেয়ে বেশি ছিল ভারত ও ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা।

একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেটা জানিয়েছে, এই ধরনের জালিয়াতরা ডিপফেক ব্যবহার করতেন, সঙ্গে আরও নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে নিজেদের প্রচার করতেন যেন তারা আদপে ভারত ও ব্রাজিলের কোনো জনপ্রিয় পার্সোনাল ফিনান্স কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্রিকেট খেলোয়াড়, বড় ব্যবসায়ী এবং এভাবেই তারা জালিয়াতির বিনিয়োগ স্কিম ও ভুয়া গ্যাম্বলিং ওয়েবসাইটের প্রচার করত।

জানা গেছে, প্রথমে ভুক্তভূগিদের রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাওয়া হত একটি মেসেজিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মে যেখানে তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এমন কিছু ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হত রিডাইরেক্ট করে যা হুবহু গুগলের প্লে-স্টোর পেজের মত দেখতে। আর সেই ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে তাদের গ্যাম্বলিং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশ দিতো।

বিনিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতি এমন কিছু কিছু স্কিমের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে যার আদপে অস্তিত্বই নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি, রিয়েল এস্টেট, শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করে দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাত বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলি।

সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ই-মেইলে, ফোনকলে কিংবা কোনো কোচিং গ্রুপ খুলে সেখানেও এই ধরনের এক্সক্লুসিভ বিনিয়োগের স্কিম সম্পর্কে তথ্য দিতো এই অ্যাকাউন্টগুলো।

এ ছাড়াও ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সেলার প্ল্যাটফর্ম থেকেও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টেক জায়ান্ট মেটা। বেশিরভাগ সময় এই ধরনের জালিয়াতরা কোনো পণ্য কেনার সময় ইচ্ছে করে বেশি টাকা দিয়ে দিত, তারপর রিফান্ড চাইত সেলারের কাছ থেকে। আর তখনই সাইবার জালিয়াতির শিকার হতেন সেই সেলার।

তাই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে মেটা জানিয়েছে, কোনো পণ্য কেনার সময় যখনই আগাম টাকা দেওয়ার কথা বলা হবে, তখনই সতর্ক হতে হবে। আর এই ধরনের অ্যাকাউন্টকেই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

যে কারণে ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো মেটা

Update Time : ০৭:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট কিংবা প্রতারকদের বিভিন্ন প্রোলেভনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানোর ঘটনার প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। আর এসব অপরাধীদের থামাতে ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করেছে মেটা। সংস্থার অভিযোগ, এসব পেজ এবং অ্যাকাউন্টগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতারকদের টার্গেটে সবচেয়ে বেশি ছিল ভারত ও ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা।

একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেটা জানিয়েছে, এই ধরনের জালিয়াতরা ডিপফেক ব্যবহার করতেন, সঙ্গে আরও নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে নিজেদের প্রচার করতেন যেন তারা আদপে ভারত ও ব্রাজিলের কোনো জনপ্রিয় পার্সোনাল ফিনান্স কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্রিকেট খেলোয়াড়, বড় ব্যবসায়ী এবং এভাবেই তারা জালিয়াতির বিনিয়োগ স্কিম ও ভুয়া গ্যাম্বলিং ওয়েবসাইটের প্রচার করত।

জানা গেছে, প্রথমে ভুক্তভূগিদের রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাওয়া হত একটি মেসেজিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মে যেখানে তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এমন কিছু ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হত রিডাইরেক্ট করে যা হুবহু গুগলের প্লে-স্টোর পেজের মত দেখতে। আর সেই ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে তাদের গ্যাম্বলিং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশ দিতো।

বিনিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতি এমন কিছু কিছু স্কিমের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে যার আদপে অস্তিত্বই নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি, রিয়েল এস্টেট, শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করে দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাত বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলি।

সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ই-মেইলে, ফোনকলে কিংবা কোনো কোচিং গ্রুপ খুলে সেখানেও এই ধরনের এক্সক্লুসিভ বিনিয়োগের স্কিম সম্পর্কে তথ্য দিতো এই অ্যাকাউন্টগুলো।

এ ছাড়াও ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সেলার প্ল্যাটফর্ম থেকেও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টেক জায়ান্ট মেটা। বেশিরভাগ সময় এই ধরনের জালিয়াতরা কোনো পণ্য কেনার সময় ইচ্ছে করে বেশি টাকা দিয়ে দিত, তারপর রিফান্ড চাইত সেলারের কাছ থেকে। আর তখনই সাইবার জালিয়াতির শিকার হতেন সেই সেলার।

তাই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে মেটা জানিয়েছে, কোনো পণ্য কেনার সময় যখনই আগাম টাকা দেওয়ার কথা বলা হবে, তখনই সতর্ক হতে হবে। আর এই ধরনের অ্যাকাউন্টকেই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।