Dhaka ০১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালিতে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০
  • ১১০ Time View

মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তপাত এড়াতে পদত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যদের হাতে আটকের পর বুধবার সকালে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে কেইতা বলেন, ‘আজ সামরিক বাহিনীর কিছু অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হস্তক্ষেপ জরুরি। আমি রক্তপাত চাই না। এ কারণে আমি এই মুহূর্ত থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থানের শুরু হয়। অভ্যুত্থান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহী জুনিয়ররা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আটক করেন। এর পরপরই আটক করা হয় প্রেসিডেন্ট কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসেকে। তবে এতে কতজন সেনা অংশ নিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।

পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস, দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো মালির সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে এবং যেকোনও ধরনের অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ছাড়াও জিহাদি হামলা ও জাতিগত সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার পতনের আন্দোলন চলছিল মালিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মালিতে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

Update Time : ০৩:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তপাত এড়াতে পদত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যদের হাতে আটকের পর বুধবার সকালে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে কেইতা বলেন, ‘আজ সামরিক বাহিনীর কিছু অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হস্তক্ষেপ জরুরি। আমি রক্তপাত চাই না। এ কারণে আমি এই মুহূর্ত থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থানের শুরু হয়। অভ্যুত্থান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহী জুনিয়ররা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আটক করেন। এর পরপরই আটক করা হয় প্রেসিডেন্ট কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসেকে। তবে এতে কতজন সেনা অংশ নিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।

পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস, দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো মালির সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে এবং যেকোনও ধরনের অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ছাড়াও জিহাদি হামলা ও জাতিগত সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার পতনের আন্দোলন চলছিল মালিতে।