রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার ওয়্যারলেস গ্রীনওয়ে নিজ বাসার রুম থেকে মৌমিতা পাল (২৩) নামে এক এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মৌমিতা শহীদ আনোয়ার কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল এবং পাশাপাশি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চায়না ভাষার কোর্স করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টা দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৌমিতা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর রাঙামাটিয়া গ্রামের ইন্দ্রজিৎ পালের মেয়ে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় থাকতেন।
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, সেই বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল
নিহতের ছোট বোন মৃদুলা পাল জানান, আমাদের মা অনেক আগেই মারা গেছেন। ঢাকায় বাবার সঙ্গে মগবাজারের বাসায় আমরা দুইবোন বসবাস করি।বাবা চায়না থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানির ব্যাবসা করেন।গত ১৪ এপ্রিল ব্যাবসায়িক কাজে বাবা চায়না গিয়েছিল। তখন আমরা দুই বোনই বাসায় থাকতাম। আমার দিদি শহীদ আনোয়ার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে চাইনিজ ভাষার ওপর পড়াশোনা করতেন। চট্টগ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে আমার দিদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২/৩ দিন যাবত ওই ছেলের সঙ্গে দিদির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। দিদি প্রায় সময়ই আনমনা হয়ে থাকতেন। গতরাতে, রাতে খাবারের জন্য দিদিকে অনেক ডাকাডাকি করেও দিদি তার রুমের দরজা খোলেননি। পরে বিষয়টি আমাদের বাবার ম্যানেজার মেহেদী হাসানকে জানাই। তিনি ধানমন্ডির বাসা থেকে আমাদের বাসায় এসে দিদিকে অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি দিদি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, আমার দিদি আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।