স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে নেটাগরিকদের ট্রোলের মুখে কঙ্গনা রানাউত। এবার কঙ্গনা টুইটে সেই ট্রোলের জবাব দিয়েছেন, বলেছেন, “সকলে ভাবতে শুরু করেছেন আমি মোদীজিকে প্রশংসা করি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমার বাড়ি কংগ্রেসের বাড়ি। আমার দাদু সারা জীবন কংগ্রেস করেছেন।
‘গ্যাংস্টার’-এর পর থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অফার আমার কাছে আসতেই থাকে। ‘মণিকর্ণিকা’ করার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবও আমি পাই।কিন্তু আমি আমার অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই। তাই কোনও ব্যক্তির কাজকে স্বাধীন ভাবে সমর্থন করার অর্থই যে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া, এই অনর্থক ট্রোলিং এ বার বন্ধ হোক।”
সুশান্তের মৃত্যুকে ঘিরে কঙ্গনা ইদানীং সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ‘পদ্মশ্রী’সম্মানও ফিরিয়ে দিতে রাজি তিনি। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর কঙ্গনা রানাউত বলিউডের একাংশ ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এর আগেও বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে তিনি রণবীর কাপূর এবং দীপিকা পাড়ুকোনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।
টুইটারে এক নেটিজেন লিখেছিলেন, ‘‘রণবীর কাপূরের একাধিক ছবি ফ্লপ করার পরেও তাঁকে ছবি দেওয়া হয়। আর এঁরা বলেন, নেপোটিজমের জোরে বড়জোর ডেবিউয়ের সুযোগ মেলে।’’
কঙ্গনা অবশ্য এই টুইটের সুযোগ ছাড়েননি। তিনি লিখেছেন, ‘‘রণবীর কাপূর ইজ আ সিরিয়াল স্কার্ট চেজার বাট নো ওয়ান ডেয়ার কল হিম আ রেপিস্ট।’’ দীপিকা প্রসঙ্গেও বলেছেন, ‘‘দীপিকা নিজেকে মানসিক রোগী বলে জাহির করে। কিন্তু কেউ ওকে সাইকো বা ডাইনি বলে না। এগুলো তাদের জন্য ব্যবহার করা হয়, যারা সাধারণ পরিবার থেকে এসেছে।’’পাশাপাশি তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্করদের নিশানা করেন কঙ্গনা। তাঁর তালিকায় আছেন আয়ুষ্মান খুরানাও।