কুষ্টিয়া সদরে খাবার হোটেলের আড়ালে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তিনটি খাবার হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মহিষাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ইকরামুল ইসলামের ভাই ভাই হোটেল, শেকমের হোটেলসহ মোট তিনটি হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও মহির আলীর চায়ের দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া সদরের ইবি থানার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া এলাকায় খাবার হোটেলের আড়ালে নারীদের দিয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা করা হয়। হোটেল মালিকরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। স্থানীয়রা হোটেল মালিকদের নিষেধ করলেও তারা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যায়। এ কারণে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দুটি হোটেল ও একটি চায়ের দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া একটি হোটেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কোলঘেঁষে প্রায় অর্ধশত খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। ১১ মাইল থেকে শুরু করে বিত্তিপাড়া করিমপুর সংযুক্ত সড়ক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হোটেলে রমরমা দেহ ব্যবসা চলে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। দেহ ব্যবসা করার কারণে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষেরা হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
জানা গেছে, মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া মাঠের মধ্যে হোটেলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করা হয়। এসব হোটেলে ট্রাকের ড্রাইভার, বিভিন্ন জায়গার লোকজন, স্থানীয়রা ও আশপাশের এলাকার মানুষ যায়। হোটেলের আড়ালে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করেন হোটেল মালিকরা। এ কারণে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকরা প্রতিনিয়ত বিপথগামী হচ্ছেন। এলাকার সুনাম নষ্ট হচ্ছে, বদনাম হচ্ছে। স্থানীয়রা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্মের প্রতিকার চান স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। হোটেল মালিকদের বহুবার নিষেধ করলেও তারা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা তিনটি হোটেল ও একটি চা দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হোটেল মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া মাঠের মধ্যে বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। সেসব হোটেলে ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপাররা খাওয়া দাওয়া করেন। হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসার অভিযোগে তিন-চারটি হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় কিছু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।