Dhaka ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
চাঙ্গা প্রবাসী আয়, সর্বোচ্চ অবদান রাখছে সৌদি আরব করোনার নতুন সংক্রমণ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি সতর্কতা জারি অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম : শিল্প উপদেষ্টা মেট্রোরেলের যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ পশু কোরবানি দিতে গিয়ে তিন দিনে আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ৯৪২ চেন্নাই কলকাতাসহ ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান গাজার জন্য ত্রাণ বহনকারী জাহাজ আটকে দিলো ইসরায়েল ঈদের তৃতীয় দিনও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ চার দিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে:মোস্তাফিজুর রহমান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 53

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে। যার কারণে চাহিদা কমে যাবে। ফলে পণ্য রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতির কারণে পোশাক রপ্তানিতে কি কি প্রভাব পড়বে? এখন বাংলাদেশের কি করা প্রয়োজন, এসব বিষয় জানতে চাইলে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মার্কিন শুল্কারোপ এটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে তাদের বাড়ানোর মাত্রাটা আশ্চর্যান্বিত করেছে।

তিনি বলেন, এর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে, চাহিদা কমে যাবে।

অন্যদিকে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপরও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। যেমন চীনের ওপর ৫৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৯ শতাংশ এটা আমাদের চেয়ে বেশি। এখান থেকে আমরা সুবিধা নিতে পারব। অন্যদিকে ভারতে ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এটা আমাদের চেয়ে কম। এখানে তারা বেশি সুবিধা নেবে। অর্থাৎ সব দিক থেকেই প্রভাব পড়বে।

অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আশঙ্কা জানিয়ে এই অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চীন বলেছে তারাও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করবে। এতে করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর হবে না।

এখন আমাদের করণীয় কী, জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করা যেতে পারে। তাদের জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে, কি বিবেচনা বা হিসেবে এই শুল্কারোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানির পঞ্চম বৃহত্তম বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোনো শুল্ক নেই। বাংলাদেশ স্ক্র্যাপ আমদানি করে আমেরিকা থেকে। সেখানে শূন্য শুল্ক। পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানিতে ৩১ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এই হচ্ছে প্রধান প্রধান আমদানি। তাহলে আমেরিকা কেন ৭৪ শতাংশের কথা বলছে, সেটা জানতে চাওয়া দরকার। এসব নিয়ে দরকষাকষি করতে হবে। তাদের বলতে হবে- তোমাদের কাছ থেকে তুলা এনে আমরা পণ্য তৈরি করে তোমাদের দেশে রপ্তানি করছি এখানে আমাকে ছাড় দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনও বলেছে- যারা তাদের পণ্য ব্যবহার করে রপ্তানি করবে, তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প কোন দেশের ওপর কত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করছেন, তার একটি তালিকা তুলে ধরা হয়।

এই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা উল্লেখ আছে। এ ছাড়া কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ব্যাপকহারে বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন বাজারে ৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

চাঙ্গা প্রবাসী আয়, সর্বোচ্চ অবদান রাখছে সৌদি আরব

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে:মোস্তাফিজুর রহমান

Update Time : ০২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে। যার কারণে চাহিদা কমে যাবে। ফলে পণ্য রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতির কারণে পোশাক রপ্তানিতে কি কি প্রভাব পড়বে? এখন বাংলাদেশের কি করা প্রয়োজন, এসব বিষয় জানতে চাইলে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মার্কিন শুল্কারোপ এটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে তাদের বাড়ানোর মাত্রাটা আশ্চর্যান্বিত করেছে।

তিনি বলেন, এর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে, চাহিদা কমে যাবে।

অন্যদিকে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপরও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। যেমন চীনের ওপর ৫৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৯ শতাংশ এটা আমাদের চেয়ে বেশি। এখান থেকে আমরা সুবিধা নিতে পারব। অন্যদিকে ভারতে ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এটা আমাদের চেয়ে কম। এখানে তারা বেশি সুবিধা নেবে। অর্থাৎ সব দিক থেকেই প্রভাব পড়বে।

অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আশঙ্কা জানিয়ে এই অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চীন বলেছে তারাও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করবে। এতে করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর হবে না।

এখন আমাদের করণীয় কী, জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করা যেতে পারে। তাদের জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে, কি বিবেচনা বা হিসেবে এই শুল্কারোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানির পঞ্চম বৃহত্তম বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোনো শুল্ক নেই। বাংলাদেশ স্ক্র্যাপ আমদানি করে আমেরিকা থেকে। সেখানে শূন্য শুল্ক। পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানিতে ৩১ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এই হচ্ছে প্রধান প্রধান আমদানি। তাহলে আমেরিকা কেন ৭৪ শতাংশের কথা বলছে, সেটা জানতে চাওয়া দরকার। এসব নিয়ে দরকষাকষি করতে হবে। তাদের বলতে হবে- তোমাদের কাছ থেকে তুলা এনে আমরা পণ্য তৈরি করে তোমাদের দেশে রপ্তানি করছি এখানে আমাকে ছাড় দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনও বলেছে- যারা তাদের পণ্য ব্যবহার করে রপ্তানি করবে, তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প কোন দেশের ওপর কত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করছেন, তার একটি তালিকা তুলে ধরা হয়।

এই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা উল্লেখ আছে। এ ছাড়া কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ব্যাপকহারে বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন বাজারে ৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি