নিজের সোনালী চুল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, শাওয়ারের পানির তোড় যথেষ্ট না হওয়ায় তার চুল চর্চ্চা বিঘ্নিত হচ্ছে। তার এই অভিযোগের পর আমেরিকান সরকার শাওয়ারের মুখ দিয়ে কত তোড়ে পানি ছাড়া হবে তার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে পানির চাপ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের এই দাবির সমালোচনা করেছেন অনেকে।
আমেরিকায় ১৯৯২ সালের আইন অনুযায়ী শাওয়ারের মুখ দিয়ে প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্যালনের বেশি পানি ছাড়ার নিয়ম নেই।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই সীমা নির্ধারণ শাওয়ারের পূর্ণাঙ্গ মুখের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেন না থাকে। তারা চাইছে প্রতি মিনিটে শাওয়ারের ঝাঁঝরির প্রতিটি গর্ত দিয়ে যেন সর্বোচ্চ ২.৫ গ্যালন পানি ছাড়া হয়।
ভোক্তা ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠনগুলো বলেছে, এটা অপচয় ও অপ্রয়োজনীয়।
গত মাসে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এই অভিযোগ আনার পর বৃহস্পতিবার সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি শাওয়ার করতে ঢুকেছেন- কিন্তু যথেষ্ট পানি আসছে না। আপনি হাত ধোবেন, কিন্তু পানি আসছে না। আপনি কী করবেন? আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকবেন শাওয়ারের নিচে আর দীর্ঘক্ষণ ধরে শাওয়ার করবেন? দেখুন আমার চুলের ব্যাপারে- আমি আপনাদের কথা জানি না, কিন্তু আমার চুলের স্টাইল নিখুঁত হতে হবে।’
সংরক্ষণ গোষ্ঠী অ্যাপ্লায়েন্স স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাওয়ারনেস প্রজেক্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু ডিলাস্কি বলেছেন, এই প্রস্তাব ‘উদ্ভট’।
এপি বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘আপনার শাওয়ারের মুখের ঝাঁঝরিতে আরো চারটা বা পাঁচটা গর্ত দিয়ে ‘আপনি প্রতি মিনিটে যে আরো ১০ থেকে ১৫ গ্যালন পানি ছাড়বেন, তা আপনার বাথরুম থেকে আপনাকেও ধুয়ে বের করে ফেলতে সক্ষম।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের যদি আরো ভালো ও উন্নত শাওয়ারের সরঞ্জাম দরকার হয়, আমরা তাকে কিছু অনলাইন শাওয়ার দোকানের সন্ধান দিতে পারি। তারা তাকে ভালো শাওয়ারের ঝাঁঝরি মুখ দেবে যা দিয়ে তিনি গা মাথা ভালো করে ধুতে পারবেন।’
কনজিউমার রিপোর্টস নামে আরেকটি ভোক্তা সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ফ্রিডম্যান বলেছেন, ‘তাদের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকায় শাওয়ারের সরঞ্জাম, শাওয়ারের ঝাঁঝরি মুখ নিয়ে মানুষ খুবই সন্তুষ্ট। তারা যে পরিমাণ পানি পান তাতেও তারা খুশি এবং পানির এই সীমা বেঁধে দেয়ার কারণে পানির বিলে তাদের যে সাশ্রয় হয় তাতেও তারা সন্তুষ্ট।’
রয়টার্স বার্তা সংস্থার খবরে বলা হচ্ছে, এই প্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এগুলে তা শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াতে পারে।
সূত্র : বিবিসি