Dhaka ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় রাতভর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, আটক ১১

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • ২৫ Time View

খুলনায় রাতভর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষের পর শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (৩০ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬টি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

আটককৃতরা হলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ (৩৩), কালা লাভলু (রুবেল ইসলাম) (৩৫), মো. আরিফুল (২৭), ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), ইমরানুজ্জামান (৩৩), ইমরান (৩৫), রিপন (৩৮), সৈকত রহমান (২৭), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. হাই জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে সন্ত্রাসীরা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বানরগাতী এলাকার আরামবাগ সংলগ্ন একটি বাড়িতে বসে মিটিং করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পেছনে হাটতে থাকে এবং আহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ৩টি পিস্তল, ১টি একনলা শর্টগান, ১টি কাটা বন্দুক, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৭টি দামি মোটরসাইকেল। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রগুলো বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। সেগুলো উদ্ধারের জন্য সকালে ওই পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।

এসআই হাই আরও জানান, রাত সাড়ে ৩টায় অভিযান অসমাপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং বাড়িটি ডিবি পুলিশের একটি দল ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌবাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। সন্ত্রাসীরা কিছুক্ষণ পর পর গুলি করছিল। আমরাও গুলি করেছি। রাত ১২ টার পর থেকে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে পুলিশ সদস্য ২/৩ জন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, অন্ধকার থাকায় ওই স্থান ব্লক করে রাখা হয়েছে এবং সকাল বেলা আবারও সেখানে তল্লাশি চালানো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

খুলনায় রাতভর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, আটক ১১

Update Time : ০৩:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

খুলনায় রাতভর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষের পর শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (৩০ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬টি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

আটককৃতরা হলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ (৩৩), কালা লাভলু (রুবেল ইসলাম) (৩৫), মো. আরিফুল (২৭), ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), ইমরানুজ্জামান (৩৩), ইমরান (৩৫), রিপন (৩৮), সৈকত রহমান (২৭), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. হাই জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে সন্ত্রাসীরা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বানরগাতী এলাকার আরামবাগ সংলগ্ন একটি বাড়িতে বসে মিটিং করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পেছনে হাটতে থাকে এবং আহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ৩টি পিস্তল, ১টি একনলা শর্টগান, ১টি কাটা বন্দুক, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৭টি দামি মোটরসাইকেল। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রগুলো বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। সেগুলো উদ্ধারের জন্য সকালে ওই পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।

এসআই হাই আরও জানান, রাত সাড়ে ৩টায় অভিযান অসমাপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং বাড়িটি ডিবি পুলিশের একটি দল ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌবাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। সন্ত্রাসীরা কিছুক্ষণ পর পর গুলি করছিল। আমরাও গুলি করেছি। রাত ১২ টার পর থেকে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে পুলিশ সদস্য ২/৩ জন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, অন্ধকার থাকায় ওই স্থান ব্লক করে রাখা হয়েছে এবং সকাল বেলা আবারও সেখানে তল্লাশি চালানো হবে।